ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

প্রকাশ্যে এলো আদালতে বিস্ফোরণের ‘রহস্য’ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
প্রকাশ্যে এলো আদালতে বিস্ফোরণের ‘রহস্য’  গগনদীপ সিং

ভারতের পাঞ্জাবের লুধিয়ানার জেলা আদালত চত্বরে বিস্ফোরণে একজন নিহত হন। বৃহস্পতিবারের (২৩ ডিসেম্বর) এই বিস্ফোরণে অন্তত চারজন আহত হন।

 

এই ঘটনা কীভাবে ঘটল, কারা জড়িত—এই রহস্য নিয়ে প্রথমে অন্ধকারে ছিল পুলিশ। তদন্তে একে একে সব বেরিয়ে আসে।   

দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, শরীরের ট্যাটু ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সেই বিস্ফোরণে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। নিহতের নাম গগনদীপ সিং। পাঞ্জাব পুলিশের সাবেক এই হেড কনস্টেবল চাকরি হারান ২০১৯ সালে। মাদক পাচারের মামলায় তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

চাকরি হারিয়ে গগনদীপ সিং দুই বছর কারাগারে থাকেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জামিন পান তিনি। তবে জেলা আদালতে মামলার শুনানি চলছিল। তার সেই শুনানি ছিল শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর)। অতিরিক্ত দায়রা জজ শতীন গয়ালের এজলাসে সেই শুনানি হওয়ার কথা ছিল।

শুনানির আগের দিন বৃহস্পতিবার আদালতের শৌচাগারে বিস্ফোরক রাখতে গিয়েছিলেন গগনদীপ। কিন্তু সেটি বিস্ফোরণ হয়ে তিনি মারা যান।  

পাঞ্জাবের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া বলেন, নিহতের শরীরের ট্যাটু দেখে তার পরিচয় প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। সেটা গগনদীপের। তাঁর ডান হাতে একটি খাণ্ডার ট্যাটু ছিল, যা শিখদের ধর্মীয় প্রতীক।

খান্না থানার পুলিশের এক পুলিশ কর্তার দাবি, গগনদীপকে ২০১৯ সালের ১১ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়। তাঁর ও দুই সঙ্গীর গাড়ি থেকে ৪০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়েছিল। মাদকবিরোধী এসটিএফ সেই সময় এনডিপিএস আইনে মামলা দায়ের করে। মোহালিতে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ২০২২ সালে পাঞ্জাবে নির্বাচনের সময় নাশকতার ছক কষেছিলেন গগনদীপ। এমনটাই উঠে এসেছে তদন্তে। খান্নাতে গগনদীপের বাড়িতে শুক্রবার সন্ধ্যায় এনআইএ হানা দিয়ে পরিবারকে জেরা করে।

আরও পড়ুন: 
ভারতের আদালত চত্বরে বিস্ফোরণ, নিহত ১

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।