ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মানবদেহে বসলো শুকরের হৃদপিণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
মানবদেহে বসলো শুকরের হৃদপিণ্ড

চিকিৎসাক্ষেত্রে আমেরিকার চিকিৎসকরা এবার অভাবনীয় সাফল্য পেলেন। বিশ্বে প্রথমবারের মতো এক ব্যক্তির শরীরে সফলভাবে শুকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করলেন তারা।

তবে হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের আগে তার জিনগত রূপান্তর (জিএম) করে নেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে টানা সাত ঘণ্টা পরীক্ষামূলক এই অস্ত্রোপচার চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। আর অস্ত্রোপচারের তিনদিন পরও বেশ সুস্থ রয়েছেন ৫৭ বছর বয়সী ডেভিড বেনেট।

অস্ত্রোপচারের একদিন আগে বেনেট বলেছিলেন, ‘আমার সামনে বিকল্প দুইটা। হয় অস্ত্রোপচার, নয়তো মৃত্যু। ’

বেনেটের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসকদের কাছে ছিল না আর কোনো বিকল্প। এটাই তাকে বাঁচানোর সবশেষ চেষ্টা। তবে তিনি দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ থাকতে পারবেন কি-না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

বেনেট বলেন, ‘আমি জানি এটা অন্ধকারে গুলি ছোঁড়ার মতো ব্যাপার। কিন্তু আমার জন্য এটাই শেষ চেষ্টা। ’

মানব হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের জন্য উপযুক্ত ছিলেন না বেনেট। সাধারণত রোগীর স্বাস্থ্য অত্যন্ত দুর্বল হলে চিকিৎসকরা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। কিন্তু বিকল্প না থাকায় প্রথমবারের মতো এ ধরনের অস্ত্রোপচার করার জন্য ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টারকে বিশেষ অনুমতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা তদারকি কর্তৃপক্ষ।

ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড স্কুল অব মেডিসিনের এক বিবৃতিতে সার্জন বার্টলে গ্রিফিথ বলেছেন, এই অস্ত্রোপচার অঙ্গপ্রতঙ্গ স্বল্পতার সমাধানকে আরও একধাপ কাছাকাছি নিয়ে আসবে।

যুক্তরাষ্ট্রে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে প্রতিদিন ১৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে এক লাখের বেশি মানুষ।  

ফলে চিকিৎসাক্ষেত্রে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের চাহিদা মেটাতে জিনগত রূপান্তরের মাধ্যমে পশু বা প্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যবহারের বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে হৃদপিণ্ডে শুকরের ভাল্ব ব্যবহার অনেকটা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।