ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেন উত্তেজনা

বিশ্বের নজর বাইডেন-পুতিনের ফোনালাপে 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
বিশ্বের নজর বাইডেন-পুতিনের ফোনালাপে 

ইউক্রেন নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই টেলিফোনে কথা বলবেন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ‘যেকোনো দিন’ ইউক্রেনে আক্রমণ হতে পারে—এমন সতর্ক বার্তা আসার পর ক্ষমতাধর এই দুই নেতার ফোনালাপের দিকে এখন বিশ্বের নজর।

 

স্থানীয় সময় শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এই আলোচনায় কূটনৈতিক সমাধান আসতে পারে, নাকি এই বৈঠকের পর যুদ্ধ শুরু হবে, সে বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচান।  
 
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সূত্রের বরাত দিয়ে এই বৈঠক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দ্য গার্ডিয়ানতাস।  

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জো বাইডেন শনিবার টেলিফোনে কথা বলবেন বলে শুক্রবার সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একটি চিঠি দিয়ে তারা এই আলোচনার বিষয়ে অনুরোধ জানায়। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে ফোনালাপ হতে পারে’।  

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, শনিবার বৈঠকে বসছেন বিশ্বের ক্ষমতাধর এই দুই রাষ্ট্রপ্রধান। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইউক্রেন ইস্যুতে পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে উল্লেখ করে সেই বৈঠক এগিয়ে আনা হয়েছে।  

এই আলোচনা সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়া যদি কূটনীতিভাবে সংলাপের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থেই নিজেদের তৈরি করা এই সংকট সমাধানে আগ্রহী হয়, তাহলে আমরা তা করতে প্রস্তুত।  

বিশ্ব রাজনীতিতে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ওয়াশিংটন সতর্ক বার্তা জানিয়েছে, রাশিয়া ‘যেকোনো দিন’ ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ‘সুস্পষ্ট সম্ভাবনা’ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব আমেরিকানকে ইউক্রেন ছাড়তে হবে।  

আলোচনার আগেই অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড তাদের নাগরিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেন ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে ব্রিটেন, জাপান, লাটভিয়া ও নরওয়ে তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার জন্য বলেছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা দূতাবাসের কর্মী ও স্বজনদের দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রও কিয়েভে তাদের দূতাবাস খালি করতে যাচ্ছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ঘোষণা করবে যে, ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানোর আগেই কিয়েভ দূতাবাসের সমস্ত মার্কিন কর্মীকে চলে আসতে হবে।  

এর আগে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের পরিবারকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।