ইউক্রেনে চলমান আগ্রাসনে রুশ সেনাদের সহায়তা করছে চেচনিয়া অঞ্চলের যোদ্ধারা। রুশ বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রবেশের পর সেখানে বিস্ফোরণ, গোলাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের নেতা রামযান কাদিরভ। তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র। এক ভিডিও বার্তায় শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তিনি বলেন, তিনি ইউক্রেনে তার যোদ্ধাদের পাঠিয়েছেন, যারা রুশ সৈন্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যুদ্ধ করবে।
অনলাইনে পোস্ট করা ওই ভিডিওতে রামযান কাদিরভ বলেন, চেচেন বাহিনী এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের একটি সামরিক স্থাপনা সফলভাবে দখল করেছে। ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই প্রজাতন্ত্রের নেতা রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, ইউক্রেনের ওপর হামলা চালানোর যে সিদ্ধান্ত পুতিন নিয়েছেন, তা মস্কোর শত্রুদের ইউক্রেনের মাটি ব্যবহার করে রাশিয়ার ওপর হামলা চালানোর সুযোগ প্রতিহত করবে।
উল্লেখ্য, রামযান কাদিরভের অনুগত চেচেন যোদ্ধাদের হিংস্রতার জন্য মানবাধিকার লংঘনের বিষয়ে দুর্নাম রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ আগ্রাসনের তৃতীয় দিন শনিবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলা শুরুর পর থেকে ৩ হাজার ৫০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে। তাদের মরদেহ সরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা রেড ক্রসকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এই আহ্বান জানান ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেসচুক। তিনি বলেন, দখলদারদের হাজার হাজার মরদেহ ইউক্রেনে পড়ে আছে। মানবিক কারণে তাদের মরদেহ সরিয়ে নিতে হবে। তাই মরদেহগুলো রুশ ফেডারেশনে পৌঁছে দিতে রেড ক্রসের সহায়তা দরকার।
ইউক্রেন সেনাবাহিনী ফেসবুক পোস্টে জানায়, এ পর্যন্ত হামলায় জড়িত সাড়ে তিন হাজার রুশ সেনাকে হত্যা করা হয়েছে। বন্দি করা হয়েছে আরও ২০০ সেনা সদস্যকে। একই সঙ্গে রাশিয়ার ১৪টি যুদ্ধবিমান, ৮টি হেলিকপ্টার এবং ১০২টি ট্যাংক ধ্বংস করেছে ইউক্রেন।
তবে দেশটির এই দাবির সত্যতা তাৎক্ষণিক যাচাই করতে পারেনি বিবিসি। অপরদিকে রাশিয়া এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য জানায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
জেএইচটি