ভারতের শিলিগুড়িতে চিতাবাঘ মেরে মাংস খাওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (১২ মার্চ) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ায় চিতাবাঘের মাংস রান্না করে খাওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত অনেকেই। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পুরো গ্রামের বাসিন্দারা চিতাবাঘের মাংস খেয়েছেন। তবে তাকে মারা হয়েছিল কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। ইতোমধ্যে চিতাবাঘের চামড়া ও পা পরীক্ষার জন্য নিউ আলিপুর জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ায় পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট থেকে বিষয়টি জানতে পারেন বনদফতরের কর্মকর্তারা। তাতে দেখা যায়, মৃত চিতাবাঘের পাশে দাঁড়িয়ে কয়েকজন যুবক। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় ওই পোস্ট। আর এর সূত্র ধরেই চিতাবাঘের ছালসহ গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো একজনের নাম জানতে পারে পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চিতাবাঘের পা।
বন দফতর জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর ফাঁসিদেওয়ার কমলা চা বাগানের রায় লাইনে রীতিমতো ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পুরো গ্রামের বাসিন্দারা সেই চিতাবাঘের মাংস খেয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের রীতিমতো প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেফতার তাপস খুড়া (২০), মুকেশ খেড়কাট্টা (১৮) ও পিতালুস খেড়কাট্টাকে (২৪) শনিবার আদালতে তোলা হয়েছিল। তাদের দাবি চিতাবাঘটি মৃত ছিল। আর চিতাবাঘটি মৃত হলে বন দফতরে খবর দেওয়া হলো না কেন? কোনোকিছুই এখনো স্পষ্ট নয়।
এর আগে চিতাবাঘের চামড়া ৮০ হাজার টাকায় নেপালে পাচারের আগে বনদফতর ও সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
এনএসআর