২০২১ সালে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। সেনা অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম একটি বিস্তারিত মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত, এর মধ্যে অনেকগুলো যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলে জাতিসংঘ। খবর: আল জাজিরা
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলে বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী মানুষের জীবনের প্রতি নিদারুণ অবহেলা দেখিয়েছে, জনবহুল এলাকায় বিমান হামলা এবং ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
তিনি বলেন, ঘটনার শিকার অনেককেই মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, পুড়িয়ে মারা হয়েছে, নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি "অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ" নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক মুখপাত্র জাতিসংঘের এমন প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। নৃশংসতার ঘটনা অস্বীকার এবং অশান্তি সৃষ্টির জন্য সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছে তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। কিন্তু তা মেনে নেয়নি সাধারণ মানুষ। অভ্যুত্থানের বিরোধিতায় রাস্তা নেমে আসেন তারা। শুরু হয় দেশ জুড়ে আন্দোলন, সহিংসতা। সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলায় মিয়ানমারে অন্তত ১১ হাজার ৭৮৭ জনকে আটক করা হয়। মারা গেছেন শত শত সাধারণ মানুষ।
বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। ছাদের সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করা, মাদকের ইনজেকশন দেওয়া, কয়েকজনকে ধর্ষণসহ ভয়াবহ যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
জেডএ