ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাকিস্তানের মাটিতে আছড়ে পড়ার পরেই পাল্টা আঘাতের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল ইসলামাবাদ। ভারতের পক্ষ থেকে ‘ভুলের কথা’ জানাতে আর কিছুটা দেরি হলেই পাকিস্তানি সেনার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ধেয়ে আসতে পারতো ভারতে!
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে।
ব্লুমবার্গের রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ৯ মার্চ হরিয়ানার অম্বালায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে রক্ষাণাবেক্ষণ এবং রুটিন মহড়ার সময় হঠাৎই ভুল করে রাশিয়ায় সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস উৎক্ষেপণ হয়ে গিয়েছিল। সেটি আছড়ে পড়ে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মিলন চানু শহরে। এর পরেই পাল্টা হামলার প্রস্তুতি শুরু করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
ভারতের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে মিলন চানু এলাকার কয়েকটি ঘরবাড়ির ক্ষতি হলেও কোনো প্রাণহানি হয়নি। ব্লুমবার্গের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ঘটনার পরেই ফের দুর্ঘটনা এড়াতে অম্বালার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
ভারতের পক্ষ থেকে প্রথমে দুই দেশের সেনা কমান্ডার স্তরের হটলাইন ব্যবহার করে পাকিস্তানকে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে ব্লুমবার্গের রিপোর্টে। সে কারণে পাকিস্তানি সেনার পক্ষ থেকে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হানার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ভারতের বার্তা পেয়ে থেমে যায় পাকিস্তানি বাহিনী।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল বাবর ইফতিকার বলেছিলেন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটির গতিপথ ‘ট্র্যাক’ করে তারা দেখেছেন, সেটি হরিয়ানার সিরসা থেকে এসেছিল।
ভারতীয় সেনার ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাকিস্তানের মাটিতে আছড়ে পড়ার ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সংসদে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, অসতর্কতাবশত ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
এমজেএফ