রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোটকে (ন্যাটো) দায়ী করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্স, আরটিসহ বেশকিছু সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপের নিন্দা প্রস্তাবকে সমর্থন করা থেকে বিরত থাকে।
রামাফোসা বলেন, এই আগ্রাসনে সংকটের কারণগুলো বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর অর্থ এই নয় যে রাশিয়ার আগ্রাসনের সঙ্গে একমত হয়েছি। আমরা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকে প্রশ্রয় দিতে পারি না।
১৯৯১ সালে স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও ন্যাটো তাদের সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে। ১৯৯৯ সালে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং চেক প্রজাতন্ত্র থেকে শুরু করে ওয়ারশ চুক্তির প্রাক্তন দেশগুলো এবং প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলো এর সঙ্গে যুক্ত করেছিল। ২০০৪ সালে আরেক ধাপে বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া এবং ২০০৯ সালে আলবেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে। পরে ২০১৭ সালে মন্টিনিগ্রো এবং ২০২০ সালে উত্তর মেসিডোনিয়া, ইউক্রেন ও জর্জিয়াকে ব্লকে যোগ দিতে আহ্বান জানায় ন্যাটো।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে বিষয়টি উল্লেখ করে রামাফোসা বলেন, ন্যাটো ধারাবাহিকভাবে পূর্বমুখী সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এটি যে বৃহত্তর অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে সে বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত ছিল।
প্রসঙ্গত, মস্কো শুরু থেকেই তার সীমানার কাছাকাছি ন্যাটোর উপস্থিতির তীব্র বিরোধিতা করেছে। এছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য একটি মিশন শুরু করেছে যা মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক ব্লকের সম্প্রসারণ থামিয়ে দেবে এবং কিয়েভকে ন্যাটোর ব্লকে যোগ দিতে বাধা দেবে। কিন্তু বরাবরের মতো পশ্চিমারা রাশিয়ার এই উদ্বেগ উপেক্ষা করে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিয়েভের সরকারকে ‘অসামরিকীকরণ এবং নিরস্ত্রীকরণ’ করার লক্ষ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি বিশেষ সামরিক অভিযান ঘোষণা করেন, যা এখনো চলছে। পুতিন নিশ্চিত করতে চান যে কিয়েভ রাশিয়া কিংবা নতুন স্বীকৃত দনবাস প্রজাতন্ত্রের জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২২
এনএসআর