যুদ্ধবিরতির জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্তি আলোচনায় বসতে আহ্বান জানিয়ে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে সেই আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
সোমবার (২৮ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে এখনই আলোচনার সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে ল্যাভরভ বলেন, তাদের মধ্যে তখনই আলোচনা হওয়া উচিত, যখন মূল ইস্যুতে একমতের কাছাকাছি পৌঁছানো যাবে।
এদিকে, ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, তুরস্কের রাজধানীতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে। রোববার পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। তখনই আলোচনা করতে সম্মত হয়েছেন পুতিন। আঙ্কারা আশা করছে, এই আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি ঘটবে।
পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে যুদ্ধে অংশ নেন ইউক্রেনের সামরিক ও বেসামরিক মানুষরা। এই যুদ্ধে পশ্চিমারা সরাসরি অংশ না নিলেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মস্কোকে দুর্বল করার পথ বেছে নিয়েছে। যুদ্ধ ঠেকাতে অনেক দেশ উদ্যোগ নিলেও এখনো রুশ আগ্রাসন বন্ধ হয়নি। শান্তি আলোচনা বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
যুদ্ধে ইউক্রেনের ক্ষতি ৫৬৪ বিলিয়ন ডলার
সোমবার আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই যুদ্ধে ইউক্রেনের অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৫৬৪.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির অন্য সেক্টরও ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ফেসবুকে এক পোস্টে জানানো হয়, যুদ্ধে ৮ হাজার কিলোমিটার সড়ক ও এক কোটি বর্গমিটার আবাসন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
রুশ হামলায় ইউক্রেনের অনেক শহর এখন ধ্বংসস্তূত। এক কোটির বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত। তাদের মধ্যে দেশ ছেড়েছেন ৩৬ লাখের বেশি। উভয়পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
জেএইচটি