যুদ্ধবিরতির জন্য তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে ‘শান্তি আলোচনায়’ বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। ইউক্রেনে নতুন করে সংঘাত বেড়ে যাওয়ার মধ্যেই দুই পক্ষ এই বৈঠকে বসার বিষয়ে সম্মতির কথা জানিয়েছেন।
তুরস্কের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সোমবার (২৮ মার্চ) ইস্তাম্বুল শহরে দুই পক্ষ শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। এর আগে রোববার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিফোনে কথা বলেন এবং আজকের বৈঠকে বসার ব্যাপারে সম্মত হন।
এরদোগানের দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, টেলিফোন আলাপে তুর্কি প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে তার দেশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা উল্লেখ করে রুশ প্রেসিডেন্টকে জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধ বন্ধ এবং মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তুরস্কের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোনো রকমের বিলম্ব ছাড়া দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার দরকার এবং এ জন্য তিনি বেশকিছু আপসরফারও ইঙ্গিত দেন। তিনি নিজ দেশের জন্য কার্যকর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছেন। পাশাপাশি তিনি দোনবাস এলাকার মর্যাদার প্রশ্নেও ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে যুদ্ধে অংশ নেন ইউক্রেনের সামরিক ও বেসামরিক মানুষরা। এই যুদ্ধে পশ্চিমারা সরাসরি অংশ না নিলেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মস্কোকে দুর্বল করার পথ বেছে নিয়েছে। যুদ্ধ ঠেকাতে অনেক দেশ উদ্যোগ নিলেও এখনো রুশ আগ্রাসন বন্ধ হয়নি। শান্তি আলোচনা বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
রুশ হামলায় ইউক্রেনের অনেক শহর এখন ধ্বংসস্তূত। এক কোটির বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত। তাদের মধ্যে দেশ ছেড়েছেন ৩৮ লাখের বেশি। উভয়পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
জেএইচটি