মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের প্রলোভন দেখিয়ে গোপন তথ্য হাতানোর চেষ্টার অভিযোগে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কথিত দুজন সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব ওয়াশিংটন থেকে এফবিআই তাদের আটক করে বলে বৃহস্পতিবার তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, অভিযুক্তরা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-র সদস্য। তাদের একজন ৪০ বছর বয়সী আরিয়ান তাহেরজাদেহ এবং অন্যজন ৩৫ বছর বয়সী হায়দার আলি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সিক্রেট সার্ভিসের হাই প্রোফাইল কর্মীদের তথ্যসহ একাধিক গোপন নথি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আটক দুজনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবারই আটকদের যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে মার্কিন সহকারী আইনজীবী জসুয়া রথস্টেইন বিচারক জি মাইকেল হার্ভে-কে বলেন, আটক হায়দার আলি সাক্ষীদের জানিয়েছিলেন যে, তিনি পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত।
হায়দার আলির কাছ থেকে পাকিস্তান ও ইরানের একাধিক ভিসা উদ্ধার করা হয়েছে।
জসুয়া রথস্টেইন বিচারককে আরো বলেছেন, অভিযুক্তের দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। কিন্তু হায়দার সাক্ষীদের কাছে দাবি করেছিলেন যে- পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে।
পুলিশ বলছে, আটক আরিয়ান তাহেরজাদে ও হায়দার আলি নিজেদের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সদস্য বলে দাবি করতেন এবং ফেডারেল ল এনফোর্সমেন্ট ও প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে গোপন নথি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
আটক তাহেরজাদে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের সদস্য ও ডিএইচএসের এক কর্মীকে বিনা ভাড়ায় ফ্ল্যাটে থাকার ব্যবস্থা, আইফোন, নজরদারির বিভিন্ন যন্ত্র, ড্রোন, স্ক্রিন টিভি, অ্যাসাল্ট রাইফেল রাখার জন্য বিশেষ বাক্স, একটি জেনেরেটরসহ একাধিক জিনিস উপহার দিয়েছিল। সরকারি গাড়ি ব্যবহারের টোপও দিয়েছিল সে।
মার্কিন ফার্স্ট লেডির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক সিক্রেট সার্ভিসের কর্মীর জন্য দুই হাজার ডলার দিয়ে একটি অ্যাসাল্ট রাইফেল কিনে দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাহেরজাদের বিরুদ্ধে।
সিক্রেট সার্ভিসের যে চার সদস্যকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে ফিরতে পারবেন না।
সূত্র: এনডিটিভি।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২২
এসআইএস