ইউক্রেনে বেসামরিক লোকজনে ঠাসা একটি রেল স্টেশনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
শহরের মেয়র ওলেকজান্দার হনচারেঙ্কা বলেছেন, হামলার সময় ওই স্টেশনে চার হাজারের মতো লোক অবস্থান করছিলেন। তাদের বেশিরভাগই নারী, শিশু এবং বয়স্ক মানুষ।
ইউক্রেন বলছে, এই হামলায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে একে ‘সীমাহীন শয়তানি’ বলে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, রণক্ষেত্রে আমাদের মুখোমুখি হওয়ার শক্তি ও সাহস হারিয়েছে রাশিয়া। তাই এখন পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক লোকজন হত্যা করছে। শাস্তি না হলে এসব হামলা থামবে না।
তবে এ ধরনের হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শৌইগুর বলেছেন, এই অভিযোগ ‘উসকানিমূলক’ এবং ‘একেবারেই সত্য নয়’। এছাড়া ওই অঞ্চলে রাশিয়ার অভিযানের কোনো পরিকল্পনা ছিল না বলে জানিয়েছে ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত ট্রেন স্টেশনের যেসব ছবি পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে স্টেশনের এখানে সেখানে লাগেজসহ মৃতদেহ পড়ে আছে।
ওই অঞ্চলের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা দনবাসে হামলা করবে এই আশঙ্কায় লোকজন সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। ওই অঞ্চল থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়ার কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। বলা হচ্ছে, রাশিয়া এখন ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চল থেকে সেনাদের সরিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২২
এনএসআর