ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কে আগে বের হবে খনি থেকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১০
কে আগে বের হবে খনি থেকে

সান্তিয়াগো: কবে এবং কিভাবে আটকে পড়া চিলির খনি শ্রমিকরা গুহা থেকে বেরিয়ে আসবেন। কে আগে বের হবে।

এ নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। উদ্ধার তৎপরতা জোরদারের সঙ্গে সঙ্গে আটকে পড়ার সপ্তম সপ্তাহে তাদের নিয়ে উত্তেজনা ও উৎসাহ বেড়েই চলেছে।

চিলির আটাকামা মরুভূমির খনিতে গত ৫ আগস্ট থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাকে আগে বের করে আনা হবে এবং এতে কত সময় লাগবে, কর্মকর্তারা শুক্রবার থেকে এ বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন।

মাটির ৭০০ মিটার গভীরে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে যেতে নভেম্বেরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কেননা তাদের তুলে আনতে ৭০ সেন্টিমিটার ব্যাসের গর্ত খুঁড়তে হচ্ছে।

এসময় তাদের উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যন্ত্রপাতির সরবরাহ ও শ্রমিকদের শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে ৩৩ জনকে তিনটি দলে ভাগ করে উপরে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে বলে প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে।

উদ্ধার দলের চিকিৎসক হোর্হে দিয়াস জানান, কৌশলগতভাবে সবচেয়ে দক্ষ শ্রমিককেই আগে বের করা হবে। সবচেয়ে দুর্বল ও অসুস্থ শ্রমিকদের সবার শেষে বের করা হবে। তারা মূলত স্বাস্থ্যবান ও সুস্থ শ্রমিকদের অনুসরন করবেন।

তবে চিকিৎসক দল তাদের বিভক্তিকরণের কাজটি করবেন বলেও জানান তিনি। তবে উদ্ধার কর্মকর্তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি নেবেন বলে জানা  গেছে।

প্রতিজন শ্রমিককে উদ্ধারে দেড় ঘণ্টা লাগবে বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন। উদ্ধার তৎপরতার সহকারী প্রধান রেনে অ্যাগুয়েলার বলেন, ‘প্রতিটি শ্রমিকের জন্য আমরা ২০-৩০ মিনিট করে ধরেছি। তবে উদ্ধারের খাঁচা নামানো, শ্রমিকদের প্রস্তুত করা, এটা উঠানো এবং শ্রমিকদের খাঁচা থেকে বের করার পুরো প্রক্রিয়ায় একজনের জন্য আমরা দেড় ঘণ্টা করে নির্ধারণ করেছি। ’

এধরনের তিনটি খাঁচা তৈরি করা হলেও দুটি কাজে লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে আটকে পড়া শ্রমিকদের মানসিক ও শারীরিক প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ বের করে আনার পর তারা কিভাবে গণমাধ্যমের অভ্যর্থনা এবং প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করবে এ বিষয়েও তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।