কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানি নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে জাতিসংঘের উদ্যোগে হওয়া চুক্তি স্থগিত করেছে রাশিয়া। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্যসংকটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই চুক্তির আওতায় এরইমধ্যে ৯০ লাখ টন শস্য রপ্তানি করা হয়েছে। চুক্তিটি ১৯ নভেম্বর নবায়ন করার কথা ছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হলে কৃষ্ণসাগর অবরোধ করেছিল রাশিয়া। তাতেই বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের দামে উল্লম্ফন দেখা দেয়। শস্যের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল অনেক দরিদ্র দেশে দেখা দেয় খাদ্য সংকট। এরপরই আন্তর্জাতিক উদ্যোগে হয়েছিল ওই শস্য সরবরাহ চুক্তি। শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোল বন্দরে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলার পর চুক্তিটি স্থগিত করে মস্কো।
এ চুক্তি স্থগিত করায় রোববার (২৯ অক্টোবর) গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
গুতেরেসের মুখপাত্র বলেন, মহাসচিব এই চুক্তিতে রাশিয়াকে ফেরাতে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইউক্রেনের অবকাঠামোমন্ত্রী আলেক্সান্ডার কুব্রাকভ জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সহায়তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪০ হাজার টন শস্য নিয়ে ইথিওপিয়াগামী একটি জাহাজ ইউক্রেনে আটকা পড়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, বর্তমানে প্রায় ১৭৬টি শস্যবোঝাই জাহাজ ইউক্রেন ছাড়তে পারছে না।
এদিকে ইউক্রেনের সঙ্গে খাদ্যশস্য রপ্তানির চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউর পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল রোববার রাশিয়ার প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছেন। টুইটারে দেওয়া পোস্টে জোসেপ বোরেল বলেন, রাশিয়াকে তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
রাশিয়া শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে সরে আসার ঘটনাটিকে সম্পূর্ণভাবে আপত্তিকর বলে আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অভিযোগ করেছেন, খাদ্যকে অস্ত্র বানাতে চায় রাশিয়া।
রোববার (৩০ অক্টোবর) ওয়াশিংটনের রুশ রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, চুক্তি থেকে সরে আসার পর মার্কিন প্রতিক্রিয়া আক্রোশজনক।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়:১৫০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২২
ইআর