পূর্ব ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে বুধবার (১৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। পোল্যান্ডের দাবি এটি রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ন্যাটোর উচিত তার সদস্য দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা ন্যাটোর আর্টিকেল ৪ ও আর্টিকেল ৫ এর বিষয়ে কথা বলেন।
আর্টিকেল ৪ এ বলা হয়েছে- যখন জোটের কোনো একটি সদস্য দেশ মনে করবে যে সে হুমকির মুখে পড়েছে, সেটি ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে আলোচনা বিষয়। আর্টিকেল ৫ এ বলা হয়েছে, ওই ধরনের হুমকির কারণে পুরো জোটের বিরুদ্ধে সহিংসতার এড়াতে পাল্টা আক্রমণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
এদিকে বুধবার বিস্ফোরণের পরপরই, পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদা বলেছিলেন, প্রেজেওদো গ্রামটিতে কয়েকশত বাসিন্দা রয়েছে। ওই গ্রামে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হেনেছে তা সম্ভবত রাশিয়ার তৈরি। তবে বিষয়টি নিশ্চিতে এখনও তদন্ত চলছে।
আন্দ্রেজ দুদার ওই বিবৃতির পরই নড়েচড়ে বসে পুরো বিশ্ব। ন্যাটো তাদের সদস্যরাষ্ট্র পোল্যান্ডের ভূখণ্ড রক্ষায় তাদের ইচ্ছাকে প্রকাশ করতে থাকে।
একই দিনে, ইউক্রেনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পোল্যান্ডের বিস্ফোরণকে যুদ্ধের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে বলে মনে করছেন। তিনি এ ঘটনাকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বর্ণনা করেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই এর বিরুদ্ধে কিছু করতে হবে। ’
এদিকে, মার্কিন কর্মকর্তাদের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় যে ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্ফোরিত হয়েছে তা ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ছুড়েছে।
প্রাথমিক মূল্যায়ন থেকে বোঝা যাচ্ছে যে পোল্যান্ডে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রটি ইউক্রেন সেনাবাহিনী নিক্ষেপ করেছে। মূলত রাশিয়ার ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতেই ইউক্রেন সেনারা পাল্টা এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুড়েছিল।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
এমএইচএস