গাইবান্ধা: পৌরবাসী যে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে ভোট দিয়ে তাকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন; তা পূরণে কাজ করতে চান গাইবান্ধা পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ্ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন।
সম্প্রতি বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী আওয়ামী লীগের মেয়র মিলন।
তিনি বলেন, একটি দল থেকে নির্বাচিত হলেও দল-মতের ঊর্ধ্বে পৌর এলাকার উন্নয়নে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে যানজট-মাদকমুক্ত পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে চাই। পৌরভবন হবে জনগণের ভবন।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের অভিজ্ঞতার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন সবসময়ই আনন্দের। এবার প্রথম দলীয় প্রতীকে নির্বাচন সেই উৎসবে এক নতুনমাত্রা যোগ করেছে। অন্যের কোলে চেঁপে-হুইল চেয়ারে বসে হলেও ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট উৎসবে মিলেছেন ভোটাররা।
নির্বাচন পূর্ব পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিকল্পনা দীর্ঘদিনের। আমার বাবা ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাবার মত আমিও সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে-হৃদয়ে থাকার চেষ্টা করেছি। যার ফল এই নির্বাচন। বাবার মত সবসময় ন্যয়ের পক্ষে ছিলাম বলেই মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। কোন কেন্দ্রে ভোট বেশি পেলাম-কম পেলাম সেটা বিবেচনায় না নিয়ে ওয়ার্ডগুলোর চাহিদা অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে যাব।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গাইবান্ধা পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের অন্যতম প্রধান সমস্যা যানজট ও অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুরে রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। এছাড়া পৌর পার্র্কের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তাকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমার সর্বস্ব দিয়ে এ সুযোগের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমার দাদা-বাবার মত সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
শাহ্ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম অ্যাডভোকেট শাহ জাহাঙ্গীর কবিরের ছেলে। তার দাদা ছিলেন ও তৎকালীন গণপরিষদের প্রথম স্পিকার অ্যাডভোকেট শাহ আব্দুল হামিদ।
গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন শাহ্ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন। ১৯৭৯ সালে গাইবান্ধা শহর শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন তিনি। এরপর ১৯৮১ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন মিলন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
এসআর