মধুপুর (টাঙ্গাইল): নিজের প্রথম মেয়াদে শুরু করা অসম্পন্ন উন্নয়নমূলক কাজগুলো শেষ করে ঐতিহ্যের শহর ধনবাড়ীকে আধুনিক ও উন্নত পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে চান টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন।
সম্প্রতি বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন তিনি।
নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকে পান ১০ হাজার ৬৪৬ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী এসএমএ ছোবহান পান ৭ হাজার ৩৭ ভোট।
এর আগে স্থানীয় মুশুদ্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে ২ বার দায়িত্ব পালন করা তপন বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আলাপকালে তপন জানান, ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ পৌরসভা। বিগত ২০ বছরে অনেক কিছু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এবার তাই না হওয়া কাজগুলোর প্রতি নজর দেওয়া হবে।
উন্নত নাগরিক সুবিধাসম্পন্ন আধুনিক পৌরসভা গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি জানান, সংসদে আমাদের প্রতিনিধি (এমপি) আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। উপজেলা পরিষদে আছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের অন্যতম অভিভাবক। এখন শুধু সঠিক সমন্বয়ে কাজের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌরবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করার কথাও জানান তিনি।
দলীয় প্রতীকে নির্বাচন প্রসঙ্গে জানান, এবার প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। এজন্য ভোটার ও ধনবাড়ীবাসীর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ ও ঋণী তিনি।
এছাড়া দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় দল ও সংশ্লিষ্টদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদের অর্থ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপির প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
ড. আব্দুর রাজ্জাকের উন্নয়নকাজ ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিজের সহায়ক শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা জনগণের কাছাকাছি থেকে সমস্যা ও সমাধানে সরাসরি যে ভূমিকা রাখতে পারি সে সুযোগ এমপি-মন্ত্রীর বেলায় কম থাকলেও আমার বেলায় তা নয়। ড. আব্দুর রাজ্জাক আমাদের অভিভাবক। তার পরামর্শে ও নির্দেশে সব কাজ হয়।
তিনি বলেন, প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নবাব নওয়াব আলী চৌধুরীর স্মৃতিবিজড়িত ও রাজা ধনপতি সিংহের রাজধানী ঐতিহ্যবাহী ধনবাড়ীর দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত মেয়র হওয়ার মানেই দায়িত্বের পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়া। তাই প্রথম মেয়াদে শুরু করা অসম্পন্ন উন্নয়নমূলক কাজগুলো প্রথমে সমাপ্ত করা হবে।
উন্নয়নকাজে বৈষম্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে কে ভোট দিল, আর কোন এলাকা কম ভোট দিয়েছে তা বিবেচ্য বিষয় নয়। উন্নয়নে কোনো বৈষম্য হবে না।
শেষদিন পর্যন্ত জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে তিনি উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখে ধনবাড়ীকে আধুনিক শহর বানাতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৬
এসআর/জেডএম