ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাক্ষাৎকার

সাক্ষাৎকার 

আ.লীগের ব্যর্থতা আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে: রেজা কিবরিয়া

মহসিন হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২১
আ.লীগের ব্যর্থতা আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে: রেজা কিবরিয়া ড. রেজা কিবরিয়া

ঢাকা: গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণের জন্য দলীয় একটা অবকাঠামো তৈরি করার সুযোগ আছে। আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতার জন্য আমাদের এই সুযোগটা তেরি হয়েছে।

সরকারের জনসমর্থন এতটা কমে গেছে যে মানুষ খুঁজছে কোথায় সাপোর্ট দিলে এদেরকে দূর করা যাবে। আমি মনে করি, জনসমর্থনের দিক থেকে আমাদের দলের এক নম্বর হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

সম্প্রতি গুলশানের বাসায় বাংলানিউজের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন গুনী এই অর্থনীতিবিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলানিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট মহসিন হোসেন।

বাংলানিউজ: দেশে অনেক রাজনৈতিক দল থাকতে আপনারা আবার নতুন করে একটি রাজনৈতিক দল করতে যাচ্ছেন কেন? উদ্দেশ্য কী?

রেজা কিবরিয়া: পাল্টা প্রশ্ন, আসলে কি এত দল? আমরাতো জনগণের সামনে একটি চয়েজ বাড়াতে চাই। এটা বাংলাদেশে দরকার। যদি কখনও দেশে রাজনীতির পরিবেশ ভালো হয়। আমাদের দলের আদর্শ একটু অন্যরকম হবে। গত ৫০ বছরেতো অনেক দল ক্ষমতায় ছিল। আমরা চাচ্ছি, জনগণের স্বার্থে একটা রাষ্ট্র কাজ করবে। তাদের স্বার্থ রক্ষা করবে। বৈষম্যভিত্তিক অর্থনীতি বদলাতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্যটা অন্য দলের চেয়ে ভিন্ন। আমরা মধ্যপন্থী দল এবং আমাদের চিন্তাধারা অন্য দলের সঙ্গে মিলে না। আমি মনে করি এই চয়েজটা জনগণের সামনে থাকলে ভালো হয়। রাজনৈতিক প্রতিযোগীতা শুধু মাঠে থাকা না। আওয়ামী লীগের মতো, তাদের টাকা-পয়সা, তাদের অস্ত্র বা গুণ্ডা এটা ম্যাচ করতে চাই না। কিন্তু মানুষের সামনে আর একটা সুযোগ দিতে চাই, যে তারা অন্য কোথাও ভোট দেবে।

বাংলানিউজ: আপনারা ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে একটি জোট করেছিলেন। তখন আপনি গণফোরাম থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এখন গণফোরাম ছেড়ে কেন আবার নতুন দল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কী হবে?

রেজা কিবরিয়া: তখনকার জোটে আমি বড় কোনো ভূমিকায় ছিলাম না। সেজন্য ওই প্রশ্নের জবাব আমি দিতে পারবো না। আমি গণফোরাম ছেড়েছি গত ফেব্রুয়ারি মাসে। আসলে গণফোরামে যারা ছিল তাদের সঙ্গে আমার গণতান্ত্রিক রাজনীতি করা সম্ভব হয়নি। আমি সেখানে যোগ দিয়েছিলাম ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব দেখে। কিন্তু যে ধরনের লোক তখন গণফোরামে ছিল তাদের সঙ্গে আমি কাজ করে আরাম পাইনি। তাদের ওপর আমার বিশ্বাস ছিল না। তারা অন্য তালে ছিল। সুতরাং গণফোরাম যে একটা নির্বাচনমুখী দল না সেটা বুঝতে পারলাম। আমারতো লক্ষ্য হলো নির্বাচন ও জনগণের অধিকার আদায়। তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। সেজন্য ছেড়েছি। তারপর কিছুদিন চিন্তা করলাম। দেশের জন্য কিছু করতে চাইলে কোন জায়গায় গেলে সবচেয়ে ভাল হয়। শেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বাংলানিউজ: শুনতে পেলাম ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরকে সঙ্গে নিয়েই নতুন দল করছেন।  

রেজা কিবরিয়া: হ্যাঁ, একটি আহবায়ক কমিটি হবে। সেখানে আমি কী পদে থাকবো সেটা আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তারা সিদ্ধান্ত দেবে। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনও ফাইনাল হয়নি।

বাংলানিউজ: নতুন দলের ঘোষণা কি শিগগিরই আসছে?

রেজা কিবরিয়া: এ মাসের মধ্যেই হবে আশা করি।
 
বাংলানিউজ: আগামী নির্বাচনের আগে কি এই দলকে মাঠে দেখা যাবে?

রেজা কিবরিয়া: একটা গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে দলটি গড়ে উঠছে। তারা সব সিদ্ধান্ত প্রত্যেক জেলা প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করেই নেয়। এজন্য সময় লাগে। দলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়াই ভালো। কয়েকদিন বেশি লাগলে সমস্যা নেই। আগামী নির্বাচনের আগেই দলটি সংগঠিত হবে।
 
বাংলানিউজ: নতুন এই দলটি নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?

রেজা কিবরিয়া: আশাবাদী না হলেতো আর নামতাম না। আমি মনে করি যে আমাদের কাজ হলো জনসমর্থন সংগ্রহ করা। আমি মনে করি যে সামনের নির্বাচনের সময় আমরা এক নম্বর হবো। সাংগঠনিকভাবে কিংবা টাকার দিক থেকে পিছিয়ে থাকতে পারি, কিন্তু জনসমর্থনের দিক থেকে আমরা অনেকটা এগিয়ে থাকবো, এটা আমার বিশ্বাস।
 
বাংলানিউজ: তাহলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবেন বলে চিন্তা করছেন?

রেজা কিবরিয়া: জি, আমরা প্রাথমিকভাবে সেই পরিকল্পনা করছি। কিন্তু নির্বাচনের সময় পরিকল্পনা কী হবে, এই নির্বাচনটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এটার কোনো গ্যারান্টি নেই। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে যে প্রতারণা করেছে, সেরকম কিছু হলে আমরা অংশগ্রহণ করবো না। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচনে থাকবো। তখন আমরা কি পরিকল্পনা করবো, কার সাথে ভাল সম্পর্ক, কোন দলের সাথে জোট করবো, সেটা পরে দেখা যাবে। দুই বা আড়াই বছর পরে পরিস্থিতি কী রকম দাঁড়ায় সেটা এখন বলা যাবে না।

বাংলানিউজ: বিএনপি দাবি তুলেছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এ দাবির সঙ্গে আপনারা কি একমত? তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ আন্দোলনে যাবেন?

রেজা কিবরিয়া: আমরা নিশ্চয়ই সে ধরনের আন্দোলন নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। আমি মনে করি, যে কোনো আন্দোলনে সব বিরোধীদলের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার পুনস্থাপন করতে চায় তারা সব একসঙ্গে কাজ করবে। সুতরাং আমরা নিশ্চয়ই তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করবো। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে হতে পারে, অথবা জাতিসংঘের অধীনে একটা নির্বাচন হতে পারে। আমাদের সেনাবাহিনী আমাদের দেশের নির্বাচনের সময় ঠিকমতো কাজ করেনি, হয়তো অন্য কোনো দেশের লোককে সেটা করতে হবে। জাতিসংঘের একটা ফোর্স দিয়ে নির্বাচনটাকে পরিচালনা করা অনেক দেশে হয়েছে। বাংলাদেশেও সেটা সম্ভব।
 
বাংলানিউজ: কিছুদিন আগে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বাংলাদেশ চাইলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহায়তা দিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচনে তাদের সহায়তার প্রয়োজন হবে না।

রেজা কিবরিয়া: সরকারতো কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন চাইতে পারে না। সুতরাং এ ধরনের কথা বলে লাভ নেই। জনগণ যদি চায়, তখন তারা সে ব্যবস্থা নেবে। সরকারেরতো কোনো জনসমর্থন নেই। তারা ১৫ শতাংশ ভোট পাবে কি না সবার এটা সন্দেহ। তাদের গোয়েন্দা সংস্থাই তাদের রিপোর্ট দিয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা ২০টা আসনের বেশি পাবে না। সরকার কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন চাইতে পারে না। দুঃখের বিষয় যে এই দলটি ৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বড় ভূমিকা পালন করেছে, তারা এখন ভোটকে ভয় পায়। তারা জনগণকে যে ভয় পায় এটা খুব দুঃখের বিষয়। বিশেষ করে আমার বাবা এই দলের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। উনি যখন এই দলের প্রধানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন তখন উনি অনেক বক্তৃতা লিখেছেন এবং নিজে দিয়েছেন। গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্যে এবং একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কি কি দরকার, সেটা উনি পরিষ্কার করে বলেছিলেন। একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা উনি বার বার বলেছেন। সুতরাং উনার আদর্শ থেকে আমি সরে আসছি না। উনি যে কথাগুলো বলতেন ওই কথাগুলো এখনকার আন্দোলনের জন্য ব্যবহার করা যায়।

বাংলানিউজ: সরকারি দলের অনেক নেতা বলেছেন, বিশেষ করে কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বাংলাদেশে আর কখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না।

রেজা কিবরিয়া: উনি ঠিকই বলেছেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। কিন্তু জনগণ যখন তাদেরকে ক্ষমতা থেকে বের করে দেবে, তখন হবে। আওয়ামী লীগকে যখন ইতিহাসের ডাস্টবিনে ফেলা হবে, তখন নিশ্চয়ই একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে।

বাংলানিউজ: আপনি কি মনে করেন দেশের বিরোধীদলগুলো সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে?

রেজা কিবরিয়া: আগে কী করেছে, কেন করেছে, তারা পারবে কি না সেটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। এখন আমরা আছি, আমরা করবো, আমরা পারবো। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করলে নিশ্চয়ই পারবো। ১৯৯০ সালে যখন পেরেছে এবার কেন পারবো না। তখনও একটা স্বৈরাচার ছিল। তখন আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামীসহ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছিল। জনগণ জানে এই সরকার ভোটের অধিকার দেবে না। সেজন্য এটা ছিনিয়ে আনতে হবে। কেউ যদি ভাবে যে সরকার সুন্দর করে প্লেটে সাজিয়ে দেবে, তোমরা ক্ষমতা নিয়ে নেও, এটা তারা দেবে না। এ ধরনের একটা অসৎ, অত্যাচারী, স্বৈরাচারী সরকার কখনও সহজে ক্ষমতা থেকে যায় না, এটা ঠিক।

বাংলানিউজ: কয়েকদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, মানুষ বিএনপিকে কেন ভোট দেবে? এ বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য আছে?

রেজা কিবরিয়া: এর জবাবটা খুব সহজ, বিএনপিকে ভোট দেবে কারণ আপনাকে (প্রধানমন্ত্রীকে) আর আপনার দলকে মানুষ ঘৃণা করে। বিএনপির অন্য কাজ সেটা আর এক ব্যাপার। কিন্তু আপনাদের ঘৃণা করে বলে ওদের ভোট দেবে। আর উন্নয়নের কথা বলেন? যেখানে দশ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন দেখে আমরা সবাই সন্তষ্ট। কিন্তু তারাতো বরাদ্দ দিয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। ওটা থেকে বিদেশে পাচার করেছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। অথচ আমরা সন্তষ্ট যে ৫০ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ১০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন পেয়েছি। বাঙালিরা এতে এত খুশি না। তারা সেটা ভালো করে জানে যে এই ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণের বোঝা জনগণের ওপরেই পড়বে। উনারা যদি উন্নয়নের ওপর ভরসা করেন যে এত উন্নয়ন করেছেন, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে এত ভয় কিসের? একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলেই উনাদের গলা শুকিয়ে যায় কেন? তারা এত উন্নয়ন করেছে, প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশকে কানাডা বানিয়ে ফেলেছে, তাহলেতো জনগণ তাদের ওপরে খুশী থাকার কথা। তবে জনগণ খুব ভালো করে জানে যে এই কথাগুলো মিথ্যা।

ড. রেজা কিবরিয়ার সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তিন দশকেরও বেশি সময় কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে বিএ (রাজনীতি, দর্শন ও অর্থনীতি বিষয়ে প্রথম শ্রেণি), কুইন্স ইউনিভার্সিটি (কানাডা) থেকে এম.এ. এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এম.ফিল. (অর্থনীতি) ও ডি.ফিল. (অর্থনীতি) ডিগ্রি লাভ করেন। তার পেশাজীবন শুরু হয় ওয়াশিংটন ডিসির আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর স্থায়ী কর্মকর্তা হিসেবে। আইএমএফ-এ কর্মরত অবস্থায় (১৯৮৪-৯৩) তিনি রোমানিয়া, পর্তুগাল, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, সিংগাপুর, বাংলাদেশ, পাপুয়া নিউ গিনি ও থাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করেছেন। আইএমএফ ছাড়ার পর তিনি কিছুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা করেন এবং বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এ পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন।

ড. কিবরিয়ার পিতা শাহ এএমএস কিবরিয়া অসামান্য শিক্ষাগত অর্জন শেষে ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে পররাষ্ট্র সার্ভিসে যোগদান করেন। ১৯৯৬-২০০০ সালে তিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শাহ কিবরিয়া ২০০৫ সালে নিজ সংসদীয় আসন হবিগঞ্জে এক গ্রেনেড হামলায় নিহত হন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২১
এমএইচ/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।