ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

কুরআন তেলাওয়াতে মুখর মাদানিয়া রওজাতুল উলুম মাদরাসা প্রাঙ্গণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
কুরআন তেলাওয়াতে মুখর মাদানিয়া রওজাতুল উলুম মাদরাসা প্রাঙ্গণ

কুমিল্লা: বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় হিফজুল কোরআনের প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’-এর কুমিল্লা জোনের অডিশন চলছে।  

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টায় রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়।

১০টায় শুরু হয়েছে অডিশন। কুমিল্লা বিভাগের ছয় জেলা চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর ৪৬৫ জন প্রতিযোগী প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডে অংশ নেয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া কুমিল্লার আলেখারচর (বিশ্বরোড) এলাকায় চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন জামিয়া মাদানিয়া রওজাতুল উলুম মাদরাসার মাঠে এ অডিশন চলছে।

দিনব্যাপী এ অডিশন শুরুর পর কুরআন তেলাওয়াতে মুখর হয়ে ওঠে মাদরাসা প্রাঙ্গণ। কিশোর হাফেজদের সুরেলা গলা সবার মন কেড়ে নেয়। পাঁচটি বুথে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর পাঁচটি প্যানেলে বিচারকরা প্রথম রাউন্ডের প্রতিযোগীদের বাছাই করেন। মোট ৩০ জন প্রতিযোগী দ্বিতীয় রাউন্ডে গেছে।  
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মারকাজুল তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার পরিচালক হাফেজ কারি রহমতুল্লাহ বলেন, এবারের প্রতিযোগিতায় আমাদের মাদরাসা থেকে ১৬ জন অংশ নিয়েছে। ২০২৩ সালে বসুন্ধরা গ্রুপ আয়োজিত কুরআনের নুর প্রতিযোগিতায় আমাদের মাদরাসার প্রতিযোগীরা তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান দখল করে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সত্তরের বেশি পুরস্কার পায় এ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। এবারও আমরা ভালো করব ইনশা আল্লাহ।  

নোয়াখালীর তারতিলুল কুরআন মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ওসমান গণি বলেন, প্রথমবারের মতো এবার আমাদের মাদরাসা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। প্রথমে মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের একটা পরীক্ষা নিই। সেখানে উত্তীর্ণদের এখানে নিয়ে আসা হয়।

ফেনীর মারকাজুল কোরআন মাদরাসার শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী ছাত্র আমির সাঈদ সাত মাসে কোরআনে হাফেজ হয়। এবার সেও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে।


প্রতিযোগী মেহেদী হাসান বলে, প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে ভালো লাগছে। এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।

সারাদেশের ১১টি জোন থেকে অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সী কোরআনের হাফেজরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট জোনের প্রতিযোগিতার অডিশন হয়েছে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটি এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দেশবরেণ্য বিজ্ঞ আলেমরা।

প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ের প্রথম বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা, দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে সাত লাখ টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে পাঁচ লাখ টাকা ও সম্মাননা। চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে দুই লাখ টাকা করে, সঙ্গে সম্মাননা। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম স্থান অর্জনকারী বাকি তিনজন পাবে এক লাখ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার ও সম্মাননা। এবারও জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীরা পাচ্ছে মা-বাবা, শিক্ষকসহ ওমরাহ পালনের সুযোগ।  

আর প্রতিযোগিতায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রথম বিজয়ী পাবে ১৫ লাখ টাকা পুরস্কার। দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা এবং তৃতীয় বিজয়ী পাবে সাত লাখ টাকা ও সম্মাননা।

এ প্রতিযোগিতায় মিডিয়া পার্টনার কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ও ক্যাপিটাল এফএম। পবিত্র রমজান মাসে ‘কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’ আয়োজনটি সম্প্রচারিত হবে নিউজটোয়েন্টিফোর টেলিভিশনে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।