আর কয়েকদিন পর শুরু হবে পবিত্র মাস রমজান। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জন করাই হলো রমজানের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
রোজায় পানাহার ও শারীরিক চাহিদাকে সংযত করার মাধ্যমে এবং আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় জীবন পরিচালনার মাধ্যমে মানুষের মাঝে এক আধ্যাত্মিক বোধ তৈরি হয়। ফলে মানুষ যাবতীয় অহংকার, কুপ্রবৃত্তি ও নফসের দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে আল্লাহর প্রিয় বান্দায় পরিণত হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মাহে রমজানের প্রতি রাতেই একজন ফেরেশতা ঘোষণা করতে থাকেন: ‘হে পুণ্য অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে পাপাচারী! থামো, চোখ খোলো। ’ তিনি আবার ঘোষণা করেন: ‘ক্ষমাপ্রার্থীকে ক্ষমা করা হবে। অনুতপ্তের অনুতাপ গ্রহণ করা হবে। প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা কবুল করা হবে। ’
এ মাসে আল্লাহর দরবারে মাগফেরাত কামনা করলে, গরিব-দুঃখীদের প্রতি দান-সদকার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে, নিজে সব ধরনের খারাপ কাজ পরিহার করলে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার, তাসবিহ-তাহলিল, কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া-ইস্তেগফার করলে মহান আল্লাহ তা অবশ্যই কবুল করেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এ মাসে চারটি কাজ অবশ্যই করণীয়। দুটি কাজ এমন যে, তার দ্বারা তোমাদের প্রতিপালক সন্তুষ্ট হন। অবশিষ্ট দুটি এমন, যা ছাড়া তোমাদের কোনো উপায় নেই।
এই চারটির মধ্যে একটি হলো কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা, দ্বিতীয়টি হলো অধিক পরিমাণে ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা। এ দুটি কাজ আল্লাহর দরবারে অতি পছন্দনীয়। তৃতীয় ও চতুর্থ হলো জান্নাত লাভের আশা করা ও জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের প্রার্থনা করা। এ দুটি এমন বিষয়, যা তোমাদের জন্য একান্ত প্রয়োজন। ’ (ইবনে খুজাইমা)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়ে নিষ্পাপ হতে পারল না, তার মতো হতভাগ্য এই জগতে আর কেউ নেই। ’
মাতৃগর্ভ থেকে মানুষ যেভাবে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়, মাহে রমজানের ৩০ দিন যথাযথভাবে রোজা পালন করলে তেমন নিষ্কলুষ হয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই এ মাসে বেশি বেশি আমল ও দোয়া করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৪
এমজে