ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

বসুন্ধরা গ্রুপের ইফতার পেয়ে খুশি হাজারো রোজাদার

স্টাফ করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৪
বসুন্ধরা গ্রুপের ইফতার পেয়ে খুশি হাজারো রোজাদার

ঢাকা: কেউ কাউকে চিনেন না। অথচ পাশাপাশি বসে ইফতার করছেন।

তাদের একটাই পরিচয়– তারা রোজাদার। এই যেন এক সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মিলনমেলা।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র রমজান মাসজুড়ে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে রোজাদারদের মধ্যে ইফতারি বিতরণ কার্যক্রম চলছে। প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি রোজাদারের উপস্থিতিতে জাতীয় মসজিদে তৈরি হয় মনোরম এক আনন্দময় পরিবেশ।  

রোববার (৩০ মার্চ) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এই পরিবেশ দেখা গেছে। ইফতারি পেয়ে খুশি হাজারো মুসল্লি।

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী এই ইফতারি বিতরণ হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আসরের নামাজের পর থেকে সারিবদ্ধভাবে মসজিদের বারান্দায় বসে পড়েন উপস্থিত মুসল্লিরা। সন্ধ্যা ৬টা বাজার আগেই বারান্দা পরিপূর্ণ হয়ে যায়।

ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রিকশাচালক থেকে শুরু করে বেসরকারি চাকরিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, ভবঘুরে, বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের বারান্দায় ইফতারের জন্য বসে পড়েন।

ইফতার করতে আসা ভ্যান চালক আরিফ মিয়া জানান, নিজের টাকায় এত ভালো ইফতারি কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই এখানে ইফতার করতে এসেছি। এই এক জায়গায় ধনী গরিব কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই একসঙ্গে বসে ইফতার করতে অন্যরকম ভালো লাগে।

একটি বেসকারি ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড আবুল হোসেন বলেন, প্রথম রমজান থেকে এই মসজিদে ইফতার করছি। সবার সঙ্গে ইফতার করতে ভালো লাগে। এতে নাকি সওয়াবও বেশি হয়। এখানে ধনী–গরিব কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই পাশাপাশি বসে ইফতার করছি। আমাদের একটাই পরিচয় আমরা রোজাদার।

মিনহাজ নামের এক কলেজ ছাত্র বলেন, আমার বাসা চকবাজার এলাকায়। বাইরে একটা কাজ ছিল। তাই চিন্তা করলাম, বাসায় না গিয়ে এখানে ইফতার সেরে ফেলি। মসজিদে ইফতার করার অনুভূতি অন্যরকম। এখানে হাজার হাজার মানুষ দিনভর রোজা রেখে একসঙ্গে ইফতার করছেন। এতে পারস্পরিক সোহার্দ্য–সম্প্রীতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইফতারের আগ মুহূর্তে উপস্থিত রোজাদাররা দোয়া ও মোনাজাতে বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দোয়া করেন। এ সময় ব্যাবসায়িক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে মানবতার জন্য কাজ করে যেতে বসুন্ধরার জন্য তাওফিক চাওয়া হয়।

মুসল্লি কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী বলেন, এ বছর তৃতীয়বারের মতো বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইফতারি বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন তিন হাজার রোজাদারকে ইফতার করানো হচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে।

তিনি বলেন, রোজাদারদের ইফতার করানো অনেক সওয়াবের কাজ। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর একজন ইসলামপ্রিয় মানুষ। প্রতিনিয়ত তিনি ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছেন। আমরা পাশে থাকার চেষ্টা করছি।

মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে রোজাদারদের ইফতারে যেন কোনো সমস্যা না হয় এ জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর সুন্দর ব্যবস্থাপনা করেছেন। পুরো রমজান মাসে এ আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

 

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৪

এইচএমএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।