ঢাকা: সিয়াম সাধনার মাস রমজান। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য সারা দিন রোজা রেখে বিকেলে ইফতারের জন্য অপেক্ষায় থাকেন সবাই।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে রমজানজুড়ে ইফতারের ব্যবস্থা করায় সেই ভাবনা দূর হয়েছে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষের। রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসার পাশাপাশি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও পবিত্র রমজান মাসব্যাপী রোজাদারদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর।
প্রতিদিন তিন হাজার রোজাদারের জন্য ইফতার সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে বায়তুল মোকাররমে। সেই ইফতারে শামিল হচ্ছেন আশপাশের এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পথচারী, বিভিন্ন মেসে থাকা শিক্ষার্থী, রিকশাচালক থেকে ছিন্নমূল শিশুরাও। পাশাপাশি বসে ইফতার করছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। থাকছে না কোনো ভেদাভেদ।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বায়তুল মোকাররমে দেখা যায়, আসরের নামাজের পর থেকেই মসজিদের ফ্লোরগুলো রোজাদারদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। অনেককে আগেভাগে এসে জিকির-আজকার, কোরআন তেলাওয়াত করতে দেখা যায়। সন্ধ্যায় হাজার হাজার মানুষ এক ছাদের নিচে ইফতার করেন। অনেক রিকশাচালক রাস্তায় রিকশা রেখে ইফতারে শরিক হন।
মসজিদ মার্কেটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, গত বছরও বসুন্ধরা গ্রুপ সারা মাস ইফতার দিয়েছিল। এ বছরও দিচ্ছে। প্রতিদিন সময় মতো ইফতার চলে আসছে। মাসব্যাপী এত মানুষকে ইফতার করানো খুব সহজ কাজ নয়।
ইফতার করতে আসা শিক্ষার্থী মাহফুজ বলেন, মেসে থাকি। সবাই চাঁদা দিয়ে মেসে ইফতার করতাম। গত কয়েকদিন এখানে আসছি। বাইরে ইফতার করলে অনেক খরচ হয়। এখানে বিনা খরচে ইফতার করতে পারছি। আবার হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লির সঙ্গে একসঙ্গে বসে ইফতার করতে পারছি, এটাও আনন্দের।
রিকশাচালক আয়নাল বলেন, যারা এখানে ইফতার দেন, আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদের ভালো করবেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, এ বছর তৃতীয়বারের মতো রমজানে বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন তিন হাজার রোজাদারকে ইফতার করানো হচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে। এখানে সব শ্রেণির মানুষ ইফতার করতে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৪
এইচএমএস/এইচএ/