ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে গোর-এ শহীদ ময়দান, থাকছে বিশেষ দুই ট্রেন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৪
ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে গোর-এ শহীদ ময়দান, থাকছে বিশেষ দুই ট্রেন

দিনাজপুর: দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ গোর-এ শহীদ ময়দান।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এদিকে ঈদের জামাতে দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের জন্য থাকছে দুটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদগাহ ময়দানের ধোয়ামোছা, ময়দানের গর্ত ভরাট, কাতারের জন্য লাইন টানাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। ঈদের নামাজে আগত মুসল্লিদের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার জোরদার করতে পর্যবেক্ষণের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার। মুসল্লিদের ওজুর জন্য রাখা হয়েছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা। এছাড়া নির্মাণ করা হচ্ছে অস্থায়ী শৌচাগার।  

রোববার (৭ এপ্রিল) গোর-এ শহীদ ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন করেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ ইফতেখার আহমেদ।  

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঈদগাহ ময়দানজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), পুলিশ, আনসার সদস্যরা ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবে। ময়দানের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ময়দানে প্রবেশের জন্য মোট ১৯টি গেট তৈরি করা হয়েছে। এসব গেটে মেটাল ডিরেক্টর দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।  

ঈদগাহ ময়দানের উপদেষ্টা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, ২০২৩ সালে পবিত্র ঈদুল ফিতরে এই ময়দানে একসঙ্গে ৬ লক্ষাধিক মানুষ নামাজ আদায় করেছিলেন। গত ঈদুল আজহা থেকে আশপাশের জেলা ও উপজেলাগুলো থেকে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে দুটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরেও দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। বিশাল এই জামাতে দিনাজপুর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসল্লিরা যেন নামাজে অংশ নিতে পারেন এজন্য প্রচার-প্রচারণা ও নিরাপত্তার বিষয়ে বরাবরের মতো জোর দেওয়া হয়েছে।  

ঈদ স্পেশাল দুটি ট্রেনের সময়সূচি: 
গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে দুটি স্পেশাল ট্রেন থাকছে। একটি ট্রেন ঠাকুরগাঁও থেকে ছেড়ে সেতাবগঞ্জ হয়ে দিনাজপুর এবং অপরটি পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে চিরিরবন্দর থেকে দিনাজপুর। ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদের দিন ভোর ৫টা ছাড়বে। ট্রেনটি ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ, মঙ্গলপুর ও কাঞ্চন ট্রেন স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে সকাল সোয়া ৭টায় দিনাজপুর স্টেশনে আসবে। অপরদিকে পার্বতীপুরে সকাল ৬টায় ট্রেনটি ছেড়ে মন্মথপুর, চিরিরবন্দর, কাউগাঁওয়ে যাত্রাবিরতি দিয়ে সকাল পৌনে ৭টা দিনাজপুর স্টেশনে থামবে। অন্যদিকে নামাজের পর সোয়া ৯টার দিকে পার্বতীপুরমুখী ও সাড়ে ৯টার দিকে ঠাকুরগাঁওমুখী ট্রেনটি দিনাজপুর স্টেশন ত্যাগ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।