ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

দেড় বছরে কোরআনে হাফেজ জুবায়ের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
দেড় বছরে কোরআনে হাফেজ জুবায়ের

সিলেট: মাত্র দেড় বছরে কোরআনে হাফেজ সিলেটের মাদরাসায়ে ইসলামিয়া দারুল উলুম শাহপরানের ছাত্র মো. জুবায়ের আহমদ (১০)। এত অল্প সময়ে এ মাদরাসায় প্রথম কোনো শিশু কোরআনে হাফেজ হলো।

 

হাফেজ মো. জুবায়েরের গ্রামের বাড়ি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দয়ারবাজার ইউনিয়নের কালাইরাগ গ্রামে। তার বাবার নাম মরহুম বিলাল আহমদ। তার মা আছমা বেগম দুরারোগ্য ব্যাধিতে চোখ হারাতে বসেছেন।  

গত শনিবার (২০ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে মাসিক মাহফিলে তাকে উপস্থাপন করেন মাদরাসার মুহতামিম মুসতাকুন্নবী কাসিমী। এ সময় নায়েবে মুহতামিম মুফতি হাসান আহমদসহ শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সে সময় হাফেজ মো. জুবায়ের আহমদের মনোমুগ্ধকর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ হন উপস্থিত সবাই। তার এমন কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত মাদরাসার শিক্ষকরা।

মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ নুর আহমদ বলেন, পিতৃহীন হাফেজ মো. জুবায়ের মা দুরারোগ্য ব্যাধি ব্রেন টিউমারে চোখ হারাতে বসেছেন। এ অবস্থায় তিন বছর আগে হিফজে ভর্তি হয় মো. জুবায়ের আহমদ। তার পড়াশোনার খরচ মাদরাসা কর্তৃক বহন করা হয়। মাদরাসায় থেকেই চলে তার পড়ালেখা। আর এত অল্প বয়সে এবং কম সময়ে এ মাদরাসা থেকে কোরআনে হাফেজ হওয়ার ঘটনাটি প্রথম।  

তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের আগস্টে প্রতিষ্ঠিত এ মাদরাসায় মো. জুবায়ের আহমদ ছাড়াও গত বছর আরও একজন কোরআনে হাফেজ হয়ে বেরিয়েছে। এ বছর আরও ৪ থেকে ৫ জন কোরআনে হাফেজ হয়ে বেরোবে। মাদরাসায় হিফজ, নূরানী ও নাজারা তিনটি বিভাগে মোট ৮০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে হিফজ বিভাগে মো. জুবায়েরসহ ৪৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে বিরল প্রতিভার অধিকারী মো. জুবায়ের। তাছাড়া তার তেলাওয়াত সবাইকে মুগ্ধ করে।  

শিশু জুবায়েরের মা ব্রেন টিউমারে অন্ধত্ব বরণের পথে। তিনি চোখে আবছা আবছা দেখেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাত্র দেড় লাখ টাকা হলে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। পরিবারের দৈন্যতার মধ্যে শিশু জুবায়ের অলৌকিক প্রতিভা সবাইকে মুগ্ধ করছে। প্রতিদিন তার তেলাওয়াত শুনতে ও তাকে দেখতে মাদরাসা ঘুরে আসেন স্থানীয়দের অনেকে।  

স্থানীয় বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ এইচ এম জাহাঙ্গীর বলেন, পিতৃহীন একটি শিশু সন্তান এত কম সময়ে কোরআনে হাফেজ হওয়ার এক অর্থে অলৌকিক ঘটনা। তার তেলাওয়াত সবাইকে মুগ্ধ করছে। তার মা দুরারোগ্য ব্যাধিতে চোখ হারাতে বসেছেন। সমাজের বিত্তশালী হৃদয়বানরা এগিয়ে এলে শিশুটির মা সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।