ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ জুন ২০২৪, ১৯ জিলহজ ১৪৪৫

ইসলাম

অসুস্থতার কারণে বান্দার গুনাহ মাফ হয় 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৪
অসুস্থতার কারণে বান্দার গুনাহ মাফ হয় 

আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন মাধ্যমে বান্দার মান-মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। সে জন্যে বিভিন্ন রোগ-বালাই দিয়ে পরীক্ষাও করেন।

আবার কখনো এমন হয় যে, আল্লাত তাআলা বান্দার জন্য জান্নাতে উচ্চ মর্যাদার আসন নির্ধারণ করে রেখেছেন, কিন্তু বান্দা নিজের আমলের মাধ্যমে সেখানে পৌঁছতে সক্ষম নয়। তাই বিভিন্ন ছোটখাটো পরীক্ষার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে সে মর্তবায় পৌঁছিয়ে দেন।  

একদিন রাসুল (সা.) আয়েশার (রা.) কাছে গেলেন। দেখলেন আয়েশা কপালে একটি জলপট্টি দিয়ে আছেন এবং ব্যথার প্রকোপে কাঁপছেন।  

রাসুল (সা.) জিজ্ঞেস করেন, ‘কী হয়েছে তোমার আয়েশা?’ বলেন, ‘জ্বর হয়েছে। আল্লাহ দ্রুত আরোগ্য দান করুন। ’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘জ্বরকে মন্দ বোলো না। এটি বনি আদমের গুনাহকে এভাবে দূর করে দেয়, যেভাবে আগুন শুকনো লাকড়িকে জ্বালিয়ে শেষ করে দেয়। ’ (মুসলিম, হাদিস: ২৫৭৫) 
আরেকবার নবী (সা.) প্রচণ্ড জ্বরে কাঁপছিলেন। এমন সময় আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) নবী (সা.)-এর কাছে এলেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘মুমিন যখন কোনো (বিপদ) কষ্টে আক্রান্ত হয়, তখন আল্লাহ বিনিময়ে তার গুনাহগুলো (ঝরিয়ে দেন) মাফ করে দেন; যেমন (শীতকালে) গাছের পাতা ঝরে পড়ে। ’ (মুসলিম, হাদিস: ৫৬৪৭) 

ইবনে হিব্বান রাসুলের একটি হাদিস বর্ণনা করেছে যে, তিনি বলেন, ‘বান্দার জন্য আল্লাহর দরবারে একটা স্থান নির্ধারিত রয়েছে, কিন্তু বান্দা নিজের আমলের মাধ্যমে সে স্থানে পৌঁছতে সক্ষম নয়। এজন্য আল্লাহ তাআলা বান্দার অপছন্দ হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন পরীক্ষা ফেলেন, যাতে নিজের মর্যাদার আসনে পৌঁছুতে পারে। ’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস: ১৬৯/৭) 

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো রোগ আমার কাছে জ্বরের চেয়ে অধিক প্রিয় নয়। কেননা জ্বর শরীরের প্রতিটি অঙ্গ ও জোড়ায় পৌঁছে যায়। আর আল্লাহ তাআলা সে অনুপাতে সওয়াব দিয়ে থাকেন। ’ (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং: ৫০৩)

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৪
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।