ঢাকা, সোমবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

কোরআন অবতীর্ণের হেরা গুহা পরিদর্শনে ক্যাবল কার বানাবে সৌদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৪
কোরআন অবতীর্ণের হেরা গুহা পরিদর্শনে ক্যাবল কার বানাবে সৌদি

পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালানকারীদের অন্যতম আকর্ষণ মক্কার জাবাল আল নূরের হেরা গুহা। যেখানে ধ্যানে মগ্ন থেকে নবুয়ত লাভ করেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)।

পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হওয়া সেই গুহায় মহানবীর ধ্যানের স্থান পরিদর্শন করতে অবশ্য হাজিদের পাথুরে পাহাড় চড়তে হয়, যা অনেকের জন্য কষ্টসাধ্য। পাহাড় থেকে নেমে ফিরতে রাস্তা থাকলেও তা সময় সাপেক্ষ। কারণ, গুহাটি পবিত্র কাবা শরীফ থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আর এটির উচ্চতা ৬৩৪ মিটার।  

হাজিদের সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এবার হেরা গুহায় প্রবেশের সুবিধার্থে একটি কেবল কার সিস্টেম তৈরি কবে সৌদি আরব। ইতোমধ্যে ঘোষণাও দেওয়া হয়ে গেছে। সৌদি প্রশাসন আসা করছেন, আগামী হজ মৌসুমেই হাজিরা এ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন অর্থাৎ ২০২৫ সালে এই কেবল কার সেবা চালু হবে।

সৌদি সরকার জানিয়েছে, হেরা গুহা পরিদর্শনে শুধু ক্যাবল কার সিস্টেম তৈরির পরিকল্পনাই নেওয়া হয়নি; গুহাটি যেখানে অবস্থিত সেটিকে সাংস্কৃতিক বিভাগ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একই বছরের মধ্যে জাবালে ওমর তথা ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) এর বাড়িতে তিনটি নতুন জাদুঘর নির্মিত হবে।

হেরা গুহার ভেতরের দৃশ্য

বিখ্যাত জাবাল আল নূর পাহাড়ে আলোর পাহাড় হিসেবেও পরিচিত। পাহাড়টি দেখতে উটের কুঁজের মতো। এছাড়া পাহাড়টিতে অনেকগুলো খাড়া ঢাল রয়েছে। পাহাড়টি ৫৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত এবং ৩৮০ মিটার থেকে ৫০০ মিটার পর্যন্ত খাড়া বাঁক রয়েছে, অবশেষে প্রায় উল্লম্বভাবে চূড়ায় উঠছে।

এই পাহাড়েই অবস্থিত হেরা গুহা। গুহাটিতে একসঙ্গে পাঁচজন মানুষ বসতে পারেন। এটি মুসলিমদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর স্মৃতি এবং ইসলামের ইতিহাস।  

সূত্র: গালফ নিউজ 

বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৪
এসএএইচ  


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।