ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

ইসলাম

বিশ্ব ইজতেমার বয়ান:

‘দুনিয়া নয় আখেরাতই মানুষের প্রকৃত গন্তব্য’

মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫
‘দুনিয়া নয় আখেরাতই মানুষের প্রকৃত গন্তব্য’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চলছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ধর্মপ্রাণ লাখো মুসল্লির ইবাদত-বন্দেগিতে এখন মুখর টঙ্গির তুরাগতীর।

প্রথম পর্বের মতো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বেও মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। অবরোধ, হরতাল, শীতার্ত আবহাওয়া কোনোটাই বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি তাদের সামনে। গতকাল শুক্রবার বাদফজর আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় পর্বের কার্যক্রম শুরু হয়।

বাদফজর আম বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা ইসমাইল হোসেন গোদরা। বয়ানের বাংলা তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা নূরুল ইসলাম। পরে ইজতেমার ময়দানে বিশাল জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের ইমামতি করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের। বাদজুমা বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ হোসেন। বাদ আছর ভারতের মাওলানা মুহাম্মদ মুসা, বাদমাগরিব ভারতের মাওলানা সাদ বয়ান করেছেন। মাওলানা সাদ বর্তমান তাবলিগ জামাতের অন্যতম শীর্ষ মুরব্বি।

মাওলানা সাদ তার বয়ানে বলেন, আমার প্রিয় দোস্ত ও বুজুগ! মানুষ এই দুনিয়াতে অতি অল্প সময়ের জন্য এসেছে। এটা থাকার জায়গা নয়। ইবাদতের স্থান। একদম ক্ষণস্থায়ী। যারা একবার এসেছে, তারা অবশ্যই চলে যাবে। যারা চলে গেছে তারা আর কখনও ফিরে আসবে না। এখানে কেউ চিরদিনের জন্য আসেনি। কেউ থাকতেও পারবে না। আমাদের চিরস্থায়ী বাসস্থান তো মৃত্যুর পর। সেখানের প্রস্তুতির স্থান এটা। এখানে যারা নিজের ঈমান-আমল সঠিকভাবে তৈরি করে নেবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের ওপর সন্তুষ্ট হবেন। তাদের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় চাওয়া-পাওয়া।

তিনি বয়ানে আরও বলেন, একনিষ্ঠ ইবাদত আল্লাহর নিকট বেশি দামী। মানুষের ঈমান-আমল খালেস হলে তার নিকট সম্পদের কোনো মূল্য থাকে না। সম্পদ না থাকার কারণে তারা আফসোস করে না।   দারিদ্রের কারণে দুনিয়াতে যে কষ্ট হবে কিয়ামতে এর বদলা তাদেরকে অবশ্যই দেওয়া হবে। এখন কথা হলো, সেই চিরদিনের স্থায়ী বাসস্থানের জন্য আমাদের প্রস্তুতি কতটুকু? দুনিয়া থেকে আমাকে-আপনাকে, সবাইকে একদিন যেতেই হবে। মানুষ যত সম্পদই অর্জন করুক সেগুলোর কিছুই তার সঙ্গে যাবে না। যাবে শুধু তার আমল। আমাদেরকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মাওলানা সাদ বলেন, মানুষ দ্বীনের কাজকে নিজের কাজ বানিয়ে নিলে আল্লাহ তার সব পেরেশানি দূর করে দেন। পক্ষান্তরে দুনিয়ার কাজকে আপন কাজ বানালে আল্লাহ তার পেরেশানি বাড়িয়ে দেন। এ জন্য আমাদেরকে দ্বীনের মেহনতের সঙ্গে লেগে থাকতে হবে। মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে। তবেই আমাদের জিন্দেগী শান্তিময় হয়ে উঠবে। সব পেরেশানি দূর হয়ে যাবে। আমরা যারা এখানে এসেছি- সবাই আল্লাহর নিকট তওবা করি। আল্লাহর উদ্দেশ্য অনুযায়ী দ্বীনের কাজের ওপর বেশি বেশি মেহনত করি। যেন আমরা সবাই আল্লাহর প্রকৃত বান্দা হয়ে যাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।