ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

নিউজিল্যান্ডে সাড়া ফেলেছে কোরআন প্রদর্শনী

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৫
নিউজিল্যান্ডে সাড়া ফেলেছে কোরআন প্রদর্শনী

নিউজিল্যান্ডের রাজধানী হ্যামিলটনে সে দেশের অধিবাসীদের পবিত্র কোরআনের সঙ্গে পরিচয় করানোর লক্ষ্যে প্রথম বারের মতো পবিত্র কোরআন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হলো। খবর অন ইসলামের।



হ্যামিলটন শহরের রোটারি লাউঞ্জ গার্ডেনে ১৬ মে (শনিবার) এই কোরআন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীটি চলে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা এ প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। প্রদর্শনীতে মাওরি ও নিউজিল্যান্ডের প্রতীকী ভাষা সহকারে মোট ৪৫ ভাষায় অনুবাদকৃত কোরআন প্রদর্শন করা হয়।

কোরআন প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজক মুহাম্মদ ইকবাল এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, এখানকার মানুষের জন্য এমন প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি। নানাবিধ কারণে অনেকেই ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ভ্রান্তি ধারণায় রয়েছে। জনগণের এমন অহেতুক ভ্রান্তি দূর করে সঠিক ইসলাম ধর্মকে সবার সামনে তুলে ধরতেই এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি এর ফলে ভ্রান্তি কিছুটা হলেও কমবে। প্রদর্শনী শেষে পবিত্র কোরআনের শিক্ষা, প্রচার-প্রসার বিষয়ে একটি সেমিনারও অনুষ্ঠিত হয়।

নিউজিল্যান্ড ওশেনিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। নিউজিল্যান্ড অসংখ্য ক্ষুদ্র দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। নিউজিল্যান্ড ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন একটি দেশ। নিউজিল্যান্ডের আয়তন ২৬৭, ৭১০ বর্গ কিলোমিটার।

নিউজিল্যান্ডে মুসলমানের হার মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ। যাদের মাঝে অনেক যোগ্য ও অভিজ্ঞ আলেম রয়েছেন। এখানে নিয়মিত তাবলিগের কাজ চলে। নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠেছে মসজিদ। ব্যবস্থা করা হয়েছে শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের। এমনকি নিউজিল্যান্ডে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা ও হেফজখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানকার মুসলমানদের বিভিন্ন স্বার্থ রক্ষায় ‘ফেডারেশন অব ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশন অব নিউজিল্যান্ড’ নামক একটি সংগঠন গড়ে উঠেছে।

গত কয়েক বছর ধরে নিউজিল্যান্ডে ইসলাম সম্পর্কিত ভুল ধারণা নিরসনে উন্মুক্ত মসজিদ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এখানকার মসজিদের দরজাগুলো উন্মুক্ত। যাতে করে ভিন্ন মত ও ধর্মের লোকেরা যে কোনো সময় মসজিদে এসে মুসলমানদের কাজকর্ম সম্পর্কে ধারণা নিতে পারে।

অনেকের ধারণা, মসজিদে বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজ হয়। খুশির খবর হলো- উন্মুক্ত মসজিদ নীতির ফলে তাদের ভুল চিরদিনের জন্য পাল্টে গিয়েছে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা এখন মসজিদে আসতে পারে, মুসলমানদের সঙ্গে ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারে, এমনকি অনেকে খাওয়া-দাওয়াও করে। যা মুসলমানদের অবস্থান, কাজকর্ম ইত্যাদির জন্য খুবই উপকারী।

ইসলাম ডেস্ক মেইল: bn24.islam@gmail.com
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘন্টা, মে ১৮, ২০১৫
এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।