ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

‘পাঠকের লেখা থেকে’

রমজানের দৃশ্যমান বরকত

মুহাম্মদ নাজমুল হক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৫
রমজানের দৃশ্যমান বরকত

আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে আমি নিয়মিত মসজিদেই নামাজ আদায়া করে থাকি, আলহামদুলিল্লাহ। সাপ্তাহিক জুমা বাদে মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা বলার মতো নয়।

কিন্তু রমজানে এই চিত্র একেবারে পাল্টে গেছে।

এখন মসজিদে প্রায় ওয়াক্ত নামাজেই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মসুল্লি আসছে। তবে তুলনামূলকভাবে মাগরিবের নামাজে মুসল্লির সংখ্যা একটু বেশি। হতে পারে অফিসগামী মানুষের চাপ। তবে এশার নামাজসহ খতমে তারাবি এবং ফজরের জামাতে প্রচুর মুসল্লি মসজিদে নামাজ আদায়ে আসে। গত ১৮ জুন রাতে বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট খেলা থাকা সত্ত্বেও এশা ও ফজরের নামাজে উপচেপড়া ভীড় দেখা গেছে।

রমজানের প্রথম জুমায় মসজিদে স্থান সংকুলান না হওয়ায় রাস্তায় মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। আজও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রচুর মুসল্লি মসজিদে এসেছে।

আমার দেখা বেশ কয়েকটি মসজিদে চিত্র এমন। এখানে অারেকটি বিষয় লক্ষণীয়, সেটা হলো, মুসল্লিদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যাটা বেশ ভারি, খেলা উপেক্ষা করে, বৃষ্টির বিড়ম্বনা সহ্য করে এভাবে মসজিদে আসা সত্যিই তাদের প্রতি আল্লাহতায়ালার রহমতই বলতে হয়।

আমরা জানি, এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। ধর্মের প্রতি তাদের পূর্ণ ভালোবাসা ও আবেগ রয়েছে। মসজিদে মুসল্লিদের ভীড় এরই প্রমাণ। বস্তুত আল্লাহতায়ালা রমজান মাসকে তার বান্দাদের জন্য গুনাহ মাফের এক সুযোগ হিসেবে দান করেছেন। হাদিসের ভাষায়, ‘যারা ঈমান ও এহতেছাবের সঙ্গে রোজা পালন করবে আল্লাহ তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। ’

আলহামদুলিল্লাহ! কত বড় সুসংবাদ। বান্দাকে শাস্তি দেয়ার মধ্যে আল্লাহর কোনো আনন্দ নেই। আনন্দ রয়েছে ক্ষমা করার মধ্যে। এ ক্ষমা নির্দিষ্ট কারো জন্য নয়; বরং সবার জন্য উন্মুক্ত। আল্লাহর ক্ষমায় আওতায়, নাস্তিক, ধর্মদ্রোহী ও জালেম আসতে পারে- যদি সে একনিষ্ঠভাবে তওবা করে সঠিক পথে ফিরে আসে

আমাদের জীবনকাল যেমন সীমিত, সেই সঙ্গে আমাদের মৃত্যুর সময়-ক্ষণও অজানা। আগামী রমজান পাব এমন কোনো গ্যারান্টি আমাদের নেই। তাই কালক্ষেপণ না করে আমাদের উচিৎ পরিপূর্ণরূপে ইসলামে দাখিল হয়ে যাওয়া। আর ইসলামকে যারা ভালোবাসেন করেন তাদের একান্ত উচিৎ রোজার শিক্ষার মাধ্যমে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করা।

আমরা জানি, সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করে চলায় অভ্যস্ত করে তোলাই হলো- রোজার উদ্দেশ্য। সুতরাং রোজার কাঙ্খিত লক্ষ্য যেন আমাদের জীবনের সর্বত্র প্রতিফলিত হয় সেটা খেয়াল রাখা। আর এ উদ্দেশ্যেই আমাদের যাবতীয় আচার-আচরণ, লেন-দেন, ব্যবসা-বাণিজ্য-চাকরিসহ সকল ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন হয়ে ওঠতে হবে। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে তার পথে চলাটা সহজ করে দিন এবং জীবনের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত ঈমানের ওপর টিকে থাকার তওফিক দিন।

-উত্তরা থেকে

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘন্টা, জুন ২৬, ২০১৫
এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।