ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

বিশ্ব ইজতেমার বয়ান

দাওয়াতের কাজে কখনও শিথিলতা দেখানো যাবে না

মাওলানা সাদ, দিল্লি, ভারত | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৬
দাওয়াতের কাজে কখনও শিথিলতা দেখানো যাবে না ছবি : রাজিব/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আমাদের কাছে যতো নেয়ামত আছে তার মাঝে সবচে’ বড় ও মূল্যবান নেয়ামত হলো- ঈমানের নেয়ামত। ঈমানেরর এতো দাম যে, মৃত্যুর পর ঈমানের বিনিময়ে যদি দুনিয়ার মূল্যবান সবকিছু বিনিময় হিসেবে দেওয়া হয়- তবুও ঈমানের বিনিময় হতে পারবে না।


 
ঈমানের এতো দাম যে, যদি ঈমানের মতো সম্পদ কারো না থাকে; তাহলে তার সবকিছু মূল্যহীন। মহান আল্লাহতায়ালার কাছে সবচে’ বেশি দাম ঈমানের। শেষ নবী হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যদি আল্লাহর নিকট বিন্দুমাত্র দুনিয়ার কোনো দাম থাকতো; তবে কোনো কাফেরকে একবেলা খাওয়াতেন না। আল্লাহর কাছে দুনিয়ার দাম একটি মশার পাখার সমানও নয়। যদি একটি মশার পাখার সমানও দুনিয়ার দাম হতো- তবে একজন কাফেরকে আল্লাহ দুনিয়াতে রাখতেন না। ’
 
সাহাবারা ঈমান শিক্ষা করাকে স্বতন্ত্র আমল জ্ঞান করতেন। আজ সামগ্রিক ঈমানের আলোচনা আমরা ছেড়ে দিয়েছি। তাই আমাদের ঈমানের এতো দৈন্যতা। ঈমান শিখতে হবে সাহাবাদের নিয়মে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরাম যে পদ্ধতিতে দাওয়াতের কাজ করেছেন, আমাদেরও সেই পদ্ধতিতে দাওয়াতের কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই মস্তবড় এক ভ্রান্তিতে রয়েছি।

আমরা মনে করি, আধুনিক যে কোনো মাধ্যমে বা যন্ত্র কিংবা মেশিনের সাহায্যে দ্বীনের দাওয়াত দিলে তা আদায় হবে। কিন্তু না এতে দাওয়াতের পরিপূর্ণ হক আদায় হবে না। একমাত্র নবীওয়ালা ও সাহাবিওয়ালা তরিকায় দাওয়াতের মাধ্যমেই এ কাজে পরিপূর্ণতা আসবে। কেননা তারাই আমাদের আদর্শ। তাদের বাতলানো পথই অনুকরণীয়।

ঈমানি দাওয়াত নিয়ে সাহাবারা দিক-দিগন্তে ছড়িয়ে পড়েছিলেন। বর্তমানে পৃথিবীময় গোমরাহির সায়লাবের কারণ হচ্ছে, আমরা ঈমানের দাওয়াত ছেড়ে দিয়েছি। অথচ দাওয়াতের বদৌলতেই এই উম্মত শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদায় ভূষিত হয়েছে। এ মর্মে আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, ‘তোমরাই হলে শ্রেষ্ঠ উম্মত। মানুষের কল্যাণে তোমাদেরকে পাঠানো হয়েছে। ’

মানুষের কল্যাণ দাওয়াতের মধ্যে। একজন মুসলমান ভাইয়ের ঈমান-ইয়াকিন ঠিক করে দেওয়ার চেয়ে বড় কল্যাণ আর কী হতে পারে? পবিত্র কোরআনে কারিমে কল্যাণের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে ঈমানি দাওয়াতকে। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে একটি জামাত থাকা উচিৎ, যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে ডাকবে। তারা সৎ কাজের আদেশ দেবে এবং অসৎ কাজ থেকে বারণ করবে। তারাই হলো সফলকাম। ’ এখানে আরবি ‘ওয়ালতাকুম’ বলে আরবি ব্যকরণগত অর্থের বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে। যে কোনো সময়, যে কোনো যুগে ওই জামাতটিই অনুকরণীয় বলে বিবেচ্য।

মুহতারাম দোস্ত ও বুজুর্গ! দাওয়াতের দ্বারা অন্যের ঈমান দুরস্ত হয় এবং নিজের ঈমান দৃঢ় হয়। আর ঈমানি দৃঢ়তার মাধ্যমেই আল্লাহতায়ালার নৈকট্য লাভ সম্ভব। যার ঈমান যতো মজবুত, সে আল্লাহর কাছে ততো প্রিয়। হুজুর (সা.) ইরশাদ করেন, ‘শক্তিশালী মুমিন দুর্বল মুমিন অপেক্ষা উত্তম ও আল্লাহর প্রিয়। ’

ঈমানের হাকিকত হলো, সবকিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, মাখলুক তথা সৃষ্টিজীব থেকে কিছুই হয় না। গাইরুল্লাহ থেকে না হওয়ার বিশ্বাস জন্মানোই হচ্ছে ঈমান। এ রকম ঈমানদারের জন্য কামিয়াবি ও সফলতার ওয়াদা রয়েছে। ‍
 
প্রকৃত ঈমান ও ইয়াকিনের শিক্ষা দিয়ে গেছেন হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম। নমরুদের আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার প্রাক্কালে হজরত জিবরাইল (আ.) এসে তাকে সাহায্য করতে চাইলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। নবীগণ কখনও ফেরেশতাদের কাছে সাহায্য কামনা করতেন না, তাদের বিশ্বাস ছিলো- ফেরেশতারাও আল্লাহর মাখলুক। মাখলুকের কোনো ক্ষমতা নেই। মাখলুক থেকে কোনো কিছু হতে পারে না। আজকের বিজ্ঞানের ধারণা, এটা হলে- ওটা হবে। তারা দুনিয়ার আসবাবের প্রতি বিশ্বাস রাখে। বস্তুবাদী ধ্যান-ধারণার ফলে বর্তমানে নাস্তিকদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মুহতারাম দোস্ত-বুজুর্গ! দুনিয়ার ব্যবস্থাপনার সম্পর্ক মানুষের আমলের সঙ্গে। আসবাবের সঙ্গে নয়। জগতের পরিস্থিতি কর্মের ফল। বৈষয়িক কারণ আসল নয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘জলে ও স্থলে যে বিপর্যয় সংঘটিত হয়, তা মানুষের কৃতকর্মের কারণে। এই বিপর্যয় দিয়ে আল্লাহতায়ালা মানুষকে লঘু শাস্তি দেন, যাতে তারা মন্দকর্ম থেকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। ’

বিজ্ঞান বলবে, সাগরের গোলযোগের কারণে ভূমিকম্পন হয়। কিন্তু হুজুর (সা.) ঘোষণা হলো- ‘জিনা-ব্যভিচার বৃদ্ধি পেয়ে ভূমিধ্বস হবে। ’

আল্লাহতায়ালা এবং হুজুর (সা.)-এর কথাকে নিজের চোখে দেখা বাস্তবতা থেকেও বেশি বিশ্বাস করতে হবে। তাহলে নির্ভেজাল ঈমান লাভ হবে। সাহাবারা হুজুর (সা.)-এর খবরকে চোখে দেখা সংবাদ থেকে বেশি বিশ্বাস করেছেন। সাহাবি আবু দারদা (রা.)-এর কাছে জনৈক ব্যক্তি এসে খবর দিলো, তোমার ঘর আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। আমি নিজ চোখে দেখে এসেছি। তিনি বললেন, হতেই পারে না। কারণ, আমি হুজুর (সা.)-এর শেখানো দোয়া পড়েছি, যা সকালে তিনবার পড়লে পাঠকারীর আকস্মিক কোনো মুসিবত হতে পারে না। ঠিকই দেখা গেলো, আগুন হজরত আবু দারদা (রা.)-এর ঘর পর্যন্ত এসে নিভে গেছে। আমাদেরও সাহাবাদের মতো ঈমান-ইয়াকিন পয়দা করতে হবে।
 
এই উম্মতের দাম অনেক। এই উম্মতের কোনো কাজ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয়, তবে আল্লাহ সেই কাজের মাঝে বরকত দেবেন। এ উম্মতের একটা নিয়তের এত দাম। যখন কোনো বান্দা সৎ কাজের নিয়ত করে তখন তার নিয়তের দামই এত বেশি যে ফেরেশতারা তার পায়ের নীচে নূরানী পাখা মেলে দেয়- সুবহানাল্লাহ।

দেখুন, শুধু যদি নিয়তের এত দাম হয়- তাহলে নিয়ত অনুযায়ী আমল করলে তার কি পরিমাণ সওয়াব হবে? কোনো মানুষের কল্পনায় তা ধরবে না। আজকে যখন কোনো সম্মানিত ব্যক্তি কোনো অনুষ্ঠানে আসেন, তখন তার পায়ের নীচে লাল গালিচা বিছিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ফেরেশতার নূরানী পাখার কাছে সাধারণ মাদুরের কি দাম হতে পারে?

আল্লাহতায়ালা নবীর মাধ্যমে উম্মতকে তারবিয়াত শিক্ষা দিয়েছেন। নবীদের তারবিয়াতের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা আমাদের ওপর রহমত করেছেন। আমরা কোরআনের মাধ্যমে বিভিন্ন হুকুম-আহকাম জানতে পারছি। অতএব আমাদের উচিত নবীর তারবিয়াত গ্রহণ করা। তারবিয়াতের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার বড়ত্বের বর্ণনা করা হয়; তার প্রশংসা করা হয়। আর এই তারবিয়াতের ব্যবস্থা আল্লাহতায়ালা মানুষের জন্য করছেন। অন্য কোনো মাখলুকের জন্য করেননি।

নবীরা পৃথিবীতে এসে তালিম দিয়েছেন, তারবিয়াত দিয়েছেন। তোমরা আল্লাহকে মানো, সফলতা লাভ করবে। নবীরা কিন্তু এ কথা শিক্ষা দেননি যে, রিজিক তালাশ করা, বিয়ে-শাদি করা নিষেধ। এগুলো তো মানুষের মৌলিক চাহিদা। মানুষ এ সব ছাড়া চলতে পারে না। বরং মানুষের মৌলিক চাহিদার সব প্রয়োজন পূরণ করতে হবে নবীর তরিকায়। যদি নবীর তরিকায় আমরা দুনিয়ার হাজতপূর্ণ করি; তবে দুনিয়াতেও লাভ হবে আখেরাতেও পাবো অফুরন্ত প্রতিদান।

আমাদের ঈমান আছে। সাহাবায়ে কেরামেরও ঈমান ছিল। আমাদের ঈমান আর সাহাবাদের ঈমানের মাঝে প্রার্থক্য আছে। তাদের ঈমান উঁচু দরজার ঈমান। আর আমাদের ঈমান নিম্ন পর্যায়ের ঈমান। তো মোহনত করে করে আমাদের ঈমানকে সাহাবাদের ঈমানের মতো করতে হবে। দাওয়াতের মেহনতের মাধ্যমে ঈমানকে তাজা করতে হবে। সাহাবার ঈমানের মতো একিন সৃষ্টি করতে হবে। বিশ্বাস বাড়াতে হবে।

আল্লাহতায়ালা কত বড়ো তার কোনো সীমা নেই। কেউ বলতে পারবে না তার বড়ত্বের সীমার কথা। কারো কল্পনা নেই তার মহত্ত্বের কথা। সুতরাং অহংকার করার মালিক একমাত্র আল্লাহ। আর যে আল্লাহর সিফাত অহংকারকে নিজের জন্য ব্যবহার করবে, তার ব্যাপারে আল্লাহ নিজেই হাদিসে কুদসিতে বলেন, ‘অহংকার হচ্ছে আমার চাদর। কেউ যদি অহংকার করে তবে সে যেন আমার চাদর নিয়ে টানাটানি করলো। আর যে আমার গায়ের চাদর ধরে টান দিবে আমিও তাকে টান দেবো। ’ (নাউযুবিল্লাহ) 

আল্লাহতায়ালা ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন। একজন ফেরেশতাকে শুধু ঘোষণা দেওয়ার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। সে ঘোষণা দিতে থাকে, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করবে, নিজেকে ছোট মনে করবে- তাকে আল্লাহ এতো বড়ো বানাবেন যে, তার অবস্থান অনেক ওপরে ওঠে যাবে। আর যে আল্লাহর সাথে অহংকার করে। আল্লাহর অহংকারের সিফাত নিয়ে টানাটানি করে তাকে আল্লাহ এমন টান দেবেন। এমনভাবে টেনে-হিঁচড়ে নেবেন যে তার কোনো অস্তিত্বই থাকবে না।

আল্লাহতায়ালা নবীকে বলেছেন, আপনি আমার বড়ত্ব বয়ান করুন। আমরা পূর্বেই শুনেছি, আমরা নবীর প্রতিনিধি। তাই আমাদের উচিত, আল্লাহর বড়ত্ব বয়ান করা। যখন আমরা আল্লাহর বড়ত্ব আর তার গুণাগুণ বর্ণনা করবো- তখন আমাদের ঈমান জিন্দা হবে। আমরা প্রকৃত ও তাজা ঈমানদার হতে পারবো। এটাই আমাদের প্রথম শিক্ষা।
 
যখন আমরা আল্লাহর বড়ত্বের কথা বর্ণনা করবো, তখন আমাদের জন্য দ্বিতীয় সবক হচ্ছে- নামাজ। এই নামাজ নবী (সা.) মেরাজে গিয়ে নিয়ে এসেছেন। অনেক লম্বা ঘটনা। ৫০ ওয়াক্তের নামাজকে ৫ ওয়াক্তে নিয়ে এসেছেন। নবী (সা.) দুনিয়াতে এসে বললেন, আমি আল্লাহর সঙ্গে একবার দিদার লাভ করেছি; আর তোমরা দিনে পাঁচবার তার দিদার (সাক্ষাত) লাভ করবে। (সুবহানাল্লাহ)। এই নামাজ প্রত্যেক ঈমানদারের জন্য। সাদা-কালো সব বর্ণের মুসলমানদের জন্য। ধনী-দরিদ্র সবার জন্য।

মেরে দোস্ত ও বুযুর্গ!
আমাদেরকে মানুষের ওপর অনুগ্রহ করতে হবে। ইহসান করতে হবে। সাহাবায়ে কেরাম একজন অন্যজনের ওপর অনুগ্রহ করেছেন। ইহসান করেছেন। সেই সঙ্গে ভরসা করতে হবে একমাত্র আল্লাহর ওপর।

হজরত উমর (রা.) মিশরের নীল নদের কাছে ভরসা করেননি। বরং আল্লাহর ওপর ভরসা করে চিঠি দিয়েছেন। আল্লাহ কবুল করে নিয়েছেন। আসলে দ্বীনের পথে দরকার কেবল অবিচলতা। এ ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই বাহানা খুঁজি যে, পরিস্থিতি বৈরি। পরিবেশ অনুকূলে নেই। আসলে পরিস্থিতি যতোই প্রতিকূল হোক আল্লাহ তাকে অনুকূল বানিয়েই দেবেন। তবে এর অর্থ এই নয় যে, আপনার নিজেদের দোকানে আগুন দেবেন আর স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেবেন। ইসলামে বৈরাগ্যবাদের কোনো অবকাশ নেই। জাগতিক প্রয়োজন তো অবশ্যই পূরণ করবেন। কিন্তু দ্বীন এবং আল্লাহর হুকুমকেই প্রাধান্য দিতে হবে।

আমার ভাইয়েরা, আপনাদের কাছে দুটো আবেদন। প্রথম চাওয়া হলো, মৃত্যু পর্যন্ত দাওয়াতের কাজে সঙ্গে লেগে থাকুন। কারণ, আমাদেরকে শ্রেষ্ঠ উম্মত বানানো হয়েছে নবীদের এ দায়িত্ব আমাদের কাঁধে অর্পনের কারণে। আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, তোমাদের বের করা হয়েছে মানুষের মঙ্গলের জন্য। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং এ সৎ কাজে বাধা দেবে। তাই দাওয়াতের কাজ আমাদের সবার দায়িত্ব।

দ্বিতীয় চাওয়া হলো, সারা পৃথিবীতে এ কাজ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ুন।

আল্লাহতায়ালা আমাদের কবুল করুন। আমিন।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব বিশ্ব ইজতেমার আম বয়ান। অনুবাদ: কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৬
এমএ

** বিশ্ব ইজতেমায় শতাধিক দেশের ৮ হাজার মুসল্লি
** ইজতেমায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।