ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

যে দশটি বিষয়ে মানুষের অন্তর মরে গেছে

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
যে দশটি বিষয়ে মানুষের অন্তর মরে গেছে

দেহের দাবিতে মনে কুচিন্তা জন্মে। কিন্তু বিবেক তা সমর্থন করে না।

যারা নৈতিকতার ধার ধারে না তাদের বিবেক দুর্বল। তারা ইচ্ছা করেই কুচিন্তাকে প্রশ্রয় দেয়। মনের পবিত্রতার কোনো মূল্য তাদের কাছে নেই।

কিন্তু যারা আল্লাহর অনুগত বান্দা হিসেবে জীবন যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা অবশ্যই কুচিন্তাকে মন থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করে। কোনো সময় যদি মনে কুচিন্তার প্রভাবে মন্দ কাজ করে ফেলে, তখন তারা অনুতপ্ত হয় এবং তওবা করে। এই শ্রেণির লোকেরা কখনও স্থায়ীভাবে প্রবৃতির কাছে আত্মসমর্পণ করে না।

ঈমানদারদের জন্য দুশ্চিন্তা অত্যন্ত মারাত্মক রোগ। কারণ আল্লাহতায়ালা বিপদ-মুসিবত সম্পর্ক কোরআনে কারিমে যে ধারণা দিয়েছেন, তা বিশ্বাস করলে দুশ্চিন্ত থাকার কথা নয়।

অভিজ্ঞ আলেমরা মানুষের এমন বিষয়ের প্রতি খেয়াল করে বলেছেন, একটু সচেতন হলেই কুচিন্তার প্রভাব থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। বিশেষ করে এই দশটি বিষয়ে। যে দশটি বিষয়ে মানুষের অন্তর মরে গেছে। বিষয়গুলো হলো-

১. আমরা সৃষ্টিকর্তা মহানআল্লাহতায়ালা সম্পর্কে জানি, কিন্তু তার প্রতি আমাদের কর্তব্যগুলো পালন করি না।

২. আমরা পবিত্র কোরআনে কারিম যথাসাধ্য তেলাওয়াত করি, কিন্তু সে অনুযায়ী আমল করি না।

৩. আমরা দাবী করি যে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসি, কিন্তু তার সুন্নতকে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, কারণে-অকারণে অবহেলা করি।

৪. আমরা নিজেদেরকে শয়তানের শত্রু হিসেবে দাবী করি, কিন্তু আমরা তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করি।

৫. আমার প্রত্যেকেই জান্নাতে যেতে উদগ্রীব, কিন্তু তার জন্য পরিশ্রম করি না। সে অনুযায়ী আমল করি না।

৬. আমরা জাহান্নামের ভয়ে আতঙ্কিত, কিন্তু পাপের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত তার নিকটবর্তী হচ্ছি।

৭. আমরা স্বীকার করি মৃত্যু অনিবার্য, কিন্তু তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করি না।

৮. আমরা সবসময় অন্যের দোষ বের করতে সচেষ্ট, কিন্তু নিজের দোষ-ত্রুটির ব্যাপারে খেয়াল রাখি না।

৯. আমরা আল্লাহতায়ালার নিয়ামত উপভোগ করি, কিন্তু তার জন্য শোকরিয়া আদায় করি না।

১০. আমরা মৃতের লাশকে দাফন করি, কিন্তু তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।