ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

ইতালির ৮ মসজিদে নামাজ পড়েন ১৬ লাখ মুসলমান

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১১ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৬
ইতালির ৮ মসজিদে নামাজ পড়েন ১৬ লাখ মুসলমান মস্ক অফ রোম

ইউরোপে থাকা মুসলিমদের বড় একটি অংশ বসবাস করেন ইতালিতে। ইউরোপের চতুর্থ সর্বোচ্চ (১৬ লাখ) মুসলিমের বসবাস দেশটিতে।

অথচ সেখানে মসজিদ আছে মাত্র ৮টি। কোয়ার্টজ ডটকম নামে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইতালির পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মারিয়া বোম্বারদিয়েরি নামের এক গবেষকের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন কারণে ইতালিতে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। তাই বিকল্প হিসেবে গ্যারেজ, ভবনের নিচতলা কিংবা গুদামকে নামাজের জন্য ব্যবহার করেন ইতালির মুসলিমরা।

নামাজের জন্য ব্যবহৃত এসব স্থানকে মুসাল্লা বলা হয়। এ ছাড়া দেশটিতে মুসলিমদের বেশকিছু ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলোও নামাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। গোটা ইতালিতে এমন ৮০০ ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মুসাল্লা রয়েছে।

কোয়ার্টজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইতালির তুলনায় ফ্রান্সে তিন থেকে চার গুণ বেশি মুসলিম আছে। দেশটিতে মসজিদ আছে দুই হাজার ২০০টি। ইউরোপের আরেক দেশ যুক্তরাজ্যে ইতালির চেয়ে দ্বিগুণ মুসলমান রয়েছে। দেশটিতে মসজিদ আছে এক হাজার ৫০০টি।

ইতালিতে মসজিদ সংকটের অন্যতম কারণ হলো, দেশটিতে ইসলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত কোনো ধর্ম নয়। কোনো ধর্ম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেলে ওই ধর্মের উপাসনালয়গুলো নিরাপত্তা পায়। এ ছাড়া উপাসনালয় নির্মাণে সরকারি সহায়তাও পাওয়া যায়। কিন্তু ইতালিতে মুসলিমরা এ ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

দ্বিতীয়ত, ইতালিতে মসজিদ নির্মাণের অনুমতি পাওয়া বেশ কঠিন বিষয়। মসজিদ নির্মাণের আগে স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখেও পড়তে হয়। এ বিষয়ে গবেষক বোম্বারদিয়েরি বলেন, স্থানীয়দের রোষানলে না পড়তে ইতালির মসজিদগুলোতে মিনার বা গম্বুজ দেওয়া হয় না।

ইতালির মসজিদের সিংহভাগই রাজধানী রোমে অবস্থিত। তাই ইতালির মুসলমানরা চেষ্টা করছেন অন্য শহরগুলোতে মসজিদ নির্মাণের। এরই সূত্র ধরে ২০১৫ সালে ইতালির ঐতিহ্যের শহর ভেনিসে নির্মাণ করা হয়েছে কাতার সরকারের অর্থায়নে প্রথম মসজিদ। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বন্ধ থাকা ‘শান্ত মারিয়া দেলা মিজেরিকডিয়া’ গির্জাটি ক্রয় করে ওই মসজিদটি বানানো হয়।

মস্ক অফ রোম হলো ইতালি ও ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ। যা আফগানিস্তানের রাজপুত্র মুহাম্মদ হাসান ও তার স্ত্রী রাজিয়া বেগমের উদ্যোগে সৌদি আরবের যুবরাজ ফয়সালের অর্থায়নে নির্মিত হয়। এ মসজিদের আয়তন ৩০০০ বর্গমিটার (৩২০,০০০ বর্গফুট)। এখানে একত্রে প্রায় ১২০০০ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন।

১৯৭৪ সালে এ মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা গৃহিত হয়। নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৮৪ সালে। নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন ইতালিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্যান্ড্রো পার্টিনি। ১৯৯৪ সালে মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হয়। ১৯৯৫ সালের ১ জুলাই মসজিদটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১২ ঘন্টা, মে ০৬, ২০১৬
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।