ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

মসজিদে নববীতে ব্যবহৃত শতাব্দী প্রাচীন বাতির সন্ধান

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৬
মসজিদে নববীতে ব্যবহৃত শতাব্দী প্রাচীন বাতির সন্ধান ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র মসজিদে নববীতে ব্যবহৃত শতাধিক বছরের একটি পুরনো বৈদ্যুতিক বাল্বের ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বাল্বটির গায়ে সাঁটা তারিখ অনুযায়ী ঠিক ১১২ বছর আগে অর্থাৎ যেদিন আরব উপদ্বীপে প্রথম বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় সেদিনই বাল্বটি উক্ত মসজিদে স্থাপন করা হয়েছিল।

মদিনা মিউনিসিপ্যালিটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী হিজরি ১২৬৫ থেকে ১২৭৭ সালে ওসমানিয় শাসক সুলতান আবদুল মজিদের সময় মসজিদটি নির্মাণ এবং সম্প্রসারণ কাজ করা হয়। সে মসজিদে তেলকুপি ব্যবহার করা হতো। মসজিদে নববীতে প্রথম বৈদ্যুতিক বাল্ব স্থাপিত হয় ১৩২৫ হিজরি সালের ২৫ শাবান।

এরপর ১৩৭০ থেকে ১৩৭৫ সালের মধ্যে বাদশাহ আবদুল আজিজের শাসনামলে পবিত্র মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ কাজ সম্পাদন করা হয়। তার সময়েই মদিনা শরিফের এ পবিত্র মসজিদে ব্যাপকভাবে আলোক সজ্জাসহ প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্যে সেখানে একটি বিশেষ পাওয়ার স্টেশন স্থাপন করা হয়। তখন পুরো মসজিদ কম্পাউন্ডে মোট বৈদ্যুতিক বাতির সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২ হাজার ৪২৭টি।

মোহাম্মদ আল সাইয়্যিদ আল ওয়াকিল তার রচিত ‘দ্য হোলি মস্ক অব মাদিনা’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, তখনকার সময়ে মসজিদে নববী মূলত হাতে রাখা তেলের বাতিতে আলোকিত করা হতো। ৯ম হিজরিতে ফিলিস্তিন থেকে তামিম আল দারি মদিনায় আগমন করেন। তিনি এসে মসজিদে কুপি বাতির ব্যবহার চালু করেন।

কতিপয় ঐতিহাসিকের মতে সর্বপ্রথম মসজিদে নববীতে আলোক প্রজ্জ্বলন করা হয় রমজান মাসে। যখন তারারির নামাজের আয়োজনের প্রাক্কালে মুসল্লিরা জমায়েত হলে খলিফা উমর (রা.)  তেলপোড়ানো কুপি বাতির মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করেন।

-আরব নিউজ অবলম্বনে

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।