ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

স্বামী মারা গেলে নারীকে নাকফুল, কানের দুল খুলতেই হবে এমন নয়

মাহমুদা নওরিন, অতিথি লেখক, ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৬
স্বামী মারা গেলে নারীকে নাকফুল, কানের দুল খুলতেই হবে এমন নয়

মহিলাদের স্বামী মারা গেলে নাকফুল, কানের দুল ও হাতের চুড়ি খুলে ফেলার প্রচলন রয়েছে। এলাকাভেদে এটাকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।

কেউ এসব খুলতে না চাইলে তাকে খুলতে বাধ্য করা হয়। এটা নিয়ে সমাজে এক ধরনের কুসংস্কার চালু আছে।

ইসলামি স্কলারদের মতে, স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর জন্য নাকফুল, কানের দুল, হাতের চুড়ি এগুলো খুলে ফেলা বাধ্যতামূলক নয়। স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রীর জন্য পালনীয় বিধান হলো- শুধু ইদ্দত পালন করা।

নারীদের ইদ্দতকালীন সময় চার মাস ১০ দিন। এ সময়ের মধ্যে ওই নারী বিয়ে করতে পারবেন না, বিয়ের প্রস্তাব পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারবেন না। বিয়ের প্রস্তাবে যেতেও পারবেন না। এটা ইসলামের বিধান। এই সময়টাতে নারীকে সাজসজ্জা করতে নিষেধ করা হয়েছে। এটা ইদ্দতকালীন সময়। এটা শোকের সময় নয়। ইসলামে শোক পালনের কোনো সুযোগ নেই। শোক পালন ও ইদ্দত পালনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

এখানে মনে রাখতে হবে, সাজসজ্জা করা এক কথা; আর নাকফুল, কানের দুল যেগুলো পরা আছে কিংবা স্বাভাবিক যে অবস্থায় আছে- সে অবস্থায় থাকা ভিন্ন কথা। যদি কারো স্বাভাবিক অবস্থা এমনটি হয়, তাহলে তিনি এ অবস্থায় থাকতে পারেন, কোনো অসুবিধা নেই।

ইসলামের এই বিধানের পেছনে অনেক যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে। এ কারণেই মূলত এ বিধান দেওয়া হয়েছে। ইদ্দত পালনকালে তাই নারী সাজসজ্জা করবেন না। তবে স্বাভাবিক নাকফুল, কানফুল, চুড়ি যেটা আছে, সেগুলো থাকতে পারে। এগুলো যদি কারো থেকে যায়, এতে করে কোনো অসুবিধা নেই। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কোনো অবকাশ নেই। এটা নাজায়েজ কিছু নয়। শুধুমাত্র বিশেষ কোনো সাজসজ্জা করা যাবে না।

আরেকটি কথা, মেয়েরা চুড়ি ও নাকফুল না পরলে স্বামীর আয়ু কমে যায় বলে একটি ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার সমাজে চালু আছে। এটা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী কথা। ইসলামে এ কথার কোনো ভিত্তি নেই। আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক মানুষের জীবনকাল নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। সে সময়ের পূর্বে বা পরে কারো মৃত্যু হবে না। তাই ওই সমস্ত ভ্রান্ত ধারণা পরিত্যাগ করা অপরিহার্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।