ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

কোরআনে কারিমের গুণবাচক কিছু নাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
কোরআনে কারিমের গুণবাচক কিছু নাম ছবি: সংগৃহীত

কোরআনে কারিমের নাম ও বিশেষণের সংখ্যা প্রসঙ্গে বিভিন্ন মতামত পরিলক্ষিত হয়। এ প্রসঙ্গে ইমাম জারকাশি (রহ.)-এর অভিমত হলো, কোরআনে কারিমের গুণবাচক নামের সংখ্যা প্রায় ৯৯ টি।

কোরআনে কারিমের নাম ও বিশেষণের সংখ্যা প্রসঙ্গে বিভিন্ন মতামত পরিলক্ষিত হয়। এ প্রসঙ্গে ইমাম জারকাশি (রহ.)-এর অভিমত হলো, কোরআনে কারিমের গুণবাচক নামের সংখ্যা প্রায় ৯৯ টি।

শায়খ মাজদুদ্দিন আল ফিরোজাবাদীও কোরআনের গুণবাচক নামের অনুরূপ সংখ্যা উল্লেখ করেছেন। আল্লামা আস সুয়ুতি (রহ.) কোরআনের ৫৫টি নাম উল্লেখ করেছেন।  

মুফতি তকি উসমানি কোরআনে কারিমের নাম ৯০টিরও অধিক বলে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি কোরআনে কারিমের প্রকৃত নাম ৫টি ছাড়া অন্যগুলোকে তার বিশেষণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।  

আল্লামা ইমাম জারকানি (রহ.) বলেন, কোরআনের নামের সংখ্যা এতো অধিক হওয়ার কারণ হলো- কোরআনে কারিমের গুণবাচক নামগুলোকে মূল নামে আখ্যা দেওয়া। এর ফলে নামের সংখ্যা এতো অধিক হয়েছে। অন্যথায়, বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে কোরআনে কারিমের সর্বমোট নাম ৪টি। সেগুলো হলো- ১. আল-কোরআন, ২. আল-ফোরকান, ৩. আজ-জিকর ও ৪. আত-তানজিল।

অন্য তাফসিরে অবম্য কোরআনের ৫টি নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নামগুলো হলো- ১. আল-কোরআন, ২. আল-কিতাব, ৩. আল-মাসহাফ, ৪. আন-নুর ও ৫. আল-ফোরকান।  

তার পরও বিভিন্ন বর্ণনার আলোকে পবিত্র কোরআনের যেসব গুণবাচক পাওয়া যায়, সেগুলো হলো-  ১. আল কিতাব (মহাগ্রন্থ) ২. কিতাবুল্লাহ (আল্লাহর কিতাব) ৩. আল কোরআন (অধিক পঠিত) ৪. আল ফোরকান (মানদণ্ড) ৫. আন নুর (জ্যোতি) ৬. আল হুদা (পথ নির্দেশক) ৭. আজ জিকির (স্মারক) ৮. আল কওল (কথা) ৯. কালামুল্লাহ (আল্লাহর বাণী) ১০. মুবারক (মহিমান্বিত)

১১. রহমত (অনুকম্পা) ১২. হিকমাতুল বালিগা (পরিপূর্ণ) ১৩. আল হাকিম (প্রজ্ঞাময়) ১৪. হাবলুল্লাহ (আল্লাহর রজ্জু) ১৫. রুহ (প্রেরণা) ১৬. আল ওয়াহি (প্রত্যাদেশ) ১৭. আল ইলম (পরমজ্ঞান) ১৮. আল হাক্ক (মহাসত্য) ১৯. আল বাশির (সুসংবাদদাতা) ২০. আন নাজির (সতর্ককারী) 

২১. আল মাজিদ (মর্যাদাবান) ২২. আদল (সুষম) ২৩. আমরুল্লাহ (আল্লাহর নির্দেশ) ২৪. মুহাইমিন (সংরক্ষক) ২৫. বুরহান (প্রমাণ) ২৬. মুবিন (সুস্পষ্ট) ২৭. শিফা (নিরাময়) ২৮. মাওয়ায়েজ (উপদেশ) ২৯. আলী (সুউচ্চ) ৩০. রিসালাতুল্লাহ (আল্লাহর বার্তা) 

৩১. হুজ্জাতুল্লাহ (আল্লাহর প্রমাণ) ৩২. আল মুসাদ্দিক (সত্যয়নকারী) ৩৩. আল আজিজ (শক্তিময়) ৩৪. সিরাতুল মুস্তাকিম (সঠিকপথ) ৩৫. কাইয়ূম (সুদৃঢ়) ৩৬. আল ফাজল (মীমাংসাকারী) ৩৭. আল হাদিস (বাণী) ৩৮. আহসানুল হাদিস (সর্বোত্তম উক্তি) ৩৯. নাবাউল আজিম ৪০. মহাসংবাদ 

৪১. মুতাশাবিহা (সাদৃশ্যময়) ৪২. মাছানি (পুনরাবৃত) ৪৩. তানজিল (অবতীর্ণ) ৪৪. আরবি (আরব্য) ৪৫. বাসিয়ার (প্রজ্ঞা) ৪৬. বায়ান (বিবরণ) ৪৭. আয়াতুল্লাহ (আল্লাহর নির্দেশ) ৪৮. আজব (চমৎকার) ৪৯. তাযকিরা (স্মারক) ৫০. উরত্তয়াতুল উসকা (দৃড় অবলম্বন) ৫১. আস সিদক (অতীব সত্য) 

৫২. মুনাদি (আহ্বানকারী) ৫৩. আল বুশরা (আনন্দবার্তা) ৫৪. বাইয়্যিনাত (প্রমাণপঞ্জি) ৫৫. বালাগ (বার্তা) ৫৬. আল কারিম (মর্যাদাবান) ৫৭. আল মিজান (ন্যায়দণ্ড) ৫৮. নিয়ামাতুল্লাহ (আল্লাহর অনুগ্রহ) ৫৯. হুদাল্লাহ (আল্লাহর নির্দেশ) ৬০. কিতাবুল মুবিন (সুস্পষ্ট কিতাব) ৬১. কিতাবুন হাকিম (বিজ্ঞানময় কিতাব) 

৬২. কোরআনুম মুবিন (উজ্জ্বল কোরআন) ৬৩. কিতাবুম মাসতুর (ছত্রলিপি গ্রন্থ) ৬৪. কিতাবুন আজিজ (প্রিয় পুস্তক) ৬৫. জিকরুল হাকিম (কৌশলপূর্ণ) ৬৬. মাতলু (অধিক অধ্যয়নযোগ্য) ৬৭. হুদাল্লিন-নাস (মানবজাতির দিশারী) ৬৮. জিকরুল্লাহ (আল্লাহর স্মরণ) ৬৯. জিকরুল্লিল আলামিন (জগৎসমূহের জন্য স্মারক) ৭০. নুরুল্লাহ (আল্লাহর আলো) ৭১. নুরুল মুবিন (সুস্পষ্ট আলো) ৭২. কালিমাতুল্লাহ (আল্লাহর বাণী)।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।