ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

পবিত্র কোরআনের হাফেজ হলেন রুশ তরুণী ইলিনা

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
পবিত্র কোরআনের হাফেজ হলেন রুশ তরুণী ইলিনা ছবি: সংগৃহীত

অমুসলিম পিতা-মাতার উৎসাহে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হলেন এক রুশ তরুণী। খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম নেওয়া ওই তরুণী ১৫ বছর বয়সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার নাম ‘ইলিনা ডিমিট্রিয়াঙ্কো (Elena Dmitrienko)।’ এখন তার বয়স ২১।

অমুসলিম পিতা-মাতার উৎসাহে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হলেন এক রুশ তরুণী। খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম নেওয়া ওই তরুণী ১৫ বছর বয়সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

তার নাম ‘ইলিনা ডিমিট্রিয়াঙ্কো (Elena Dmitrienko)। ’ এখন তার বয়স ২১।  

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য তার পিতা-মাতা তাকে বাধা দেয়নি। উল্টো ধর্ম পালনে তারা ইলিনাকে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। এ প্রসঙ্গে ইলিনা বলেন, ‘আমার বাবা বলেন, তুমি যে ধর্ম পালন করে মনে প্রশান্তি অনুভব করো, সেটাই তোমার পালন করা উচিৎ। আমাদের পথ ভিন্ন হলেও উদ্দেশ্য তো এক। ’

ধর্ম পালনে বাবা-মা’র এমন অনুপ্রেরণা ও সাহায্যের কারণে ইলিনা কোরআন মুখস্থ করা শুরু করে এবং পুরো কোরআন মুখস্থ করে ফেলেন। পুরো কোরআন মুখস্থ করতে ইলিনার সময় লেগেছে ৪ বছর।  

ইলিনার এমন সাফল্যে মুগ্ধ রাশিয়ার ইসলাম বিষয়ক দফতর। রাশিয়ার ইসলামি অফিস ইলিনাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১৯তম ‘ফাতেমা বিনতে মোবারক’ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় রাশিয়ার প্রতিনিধি নির্বাচন করে।  

শুধুমাত্র নারীদের জন্য আয়োজিত আন্তর্জাতিক এ কোরআন প্রতিযোগিতায় মোট ৮৩টি দেশ অংশ নেবে। প্রতিযোগিতাটি রোববার (৬ নভেম্বর) শুরু হয়েছে, শেষ হবে ১৮ নভেম্বর।  

প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ইলিনা ডিমিট্রিয়াঙ্কো গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জানান, ‘আমার পিতা-মাতা মুসলমান নয়, তার পরও তাদের অনুপ্রেরণা ও সাহায্যের কারণে এক বছর পূর্বে আমি কোরআনে কারিম মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছি। ’

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ালেখা করেছি। যেখানকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মুসলমান। আমি আমার সহপাঠীদের আচার-আচরণ, তাদের লাইফস্টাইল এবং ইসলাম ধর্ম পালনের প্রতি তাদের আগ্রহ ও একনিষ্ঠতা দেখে দারুণভাবে প্রভাবিত হই এবং ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেই। ’

ইলিনা বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর পবিত্র কোরআন শেখার জন্য আমি ‘জায়নাব বিনতে সাবিত’ কোরআন শিক্ষাকেন্দ্রে যোগাযোগ করি। সেখানে যাওয়ার পর শিক্ষাকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ আমাকে সাদরে গ্রহণ করেন। ’

ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর আমার কথাবার্তা এবং আচার-আচরণে পরিবর্তন দেখার পর আমার পিতা-মাতাও আমার প্রতি প্রভাবিত হন এবং ধর্ম পালন ও কোরআন মুখস্থের বিষয়ে তারা আমাকে উৎসাহিত করেছেন।
-ইসলাম অনলাইন অবলম্বনে

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।