ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

মরক্কোর ১৫ হাজার মসজিদে বসানো হবে সৌরপ্যানেল

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
মরক্কোর ১৫ হাজার মসজিদে বসানো হবে সৌরপ্যানেল ছবি: সংগৃহীত

মরক্কোর সামাজিক জীবনে মসজিদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান দখল করে আছে। প্রথা অনুয়ায়ী দেশের সাধারণ মানুষ মসজিদে প্রায় সব বিষয়ে মতবিনিময় করে থাকে।

আটলান্টিক মহাসাগরের কোলঘেঁষে অবস্থিত প্রায় শতভাগ মুসলিমের দেশ মরক্কো। অবস্থানগতভাবে দেশটি আফ্রিকার সবচেয়ে পশ্চিমে।

রাজধানীর নাম রাবাত।  

সেই মরক্কোর সামাজিক জীবনে মসজিদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান দখল করে আছে। প্রথা অনুয়ায়ী দেশের সাধারণ মানুষ মসজিদে প্রায় সব বিষয়ে মতবিনিময় করে থাকে। তাই মসজিদের মাধ্যমে জ্বালানি সচেতনতা বাড়াতে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশটির ১৫ হাজার সরকারি মসজিদে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।  

পরিকল্পনার আওতায় মসজিদগুলোতে জ্বালানি-সাশ্রয়ী বাতি, সৌরচালিত ওয়াটার হিটার ও সৌরপ্যানেল বসানো হবে।

মরক্কোর সরকারে এ মহাপরিকল্পনা ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হবে। প্রথম ধাপে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ১০০টি মসজিদ ও ২০১৯ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ৬০০টি মসজিদকে সৌরপ্রযুক্তির অধীনে আনা হবে।  

মরক্কোর ধর্ম মন্ত্রণালয় এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছে। জার্মানীর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। খরচের ৭০ শতাংশ বহন করবে মরক্কো সরকার।

মরক্কোর মোট জ্বালানির ৯৫ শতাংশ আসে বিদেশ থেকে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে দেশটি। ফলে এমন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।  

জলবায়ু পরিবর্তনরোধে আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে মরক্কো ইতোমধ্যে নেতৃত্বের জায়গা দখল করে নিয়েছে। দেশটি আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ুচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সাহারা মরুভূমিতে বৃহদাকার একটি সৌরপ্লান্ট স্থাপন করেছে।

মসজিদে এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য হলো- পরিবেশ রক্ষা। সেই সঙ্গে আছে খরচ কমানো এবং নাগরিকদেরও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে উৎসাহিত করা।  

এর ফলে খরচ কমবে গড়ে ৮০ শতাংশ। যেমন মরক্কোর রাজধানী রাবাতে অবস্থিত আস-সুন্নাহ মসজিদে ইতোমধ্যে সোলার প্রযুক্তি বসানো হয়েছে। ফলে ওই মসজিদে জ্বালানি খরচ কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ। ওই মসজিদে সৌরপ্রযুক্তি বসাতে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ডলার। তবে এর ফলে জ্বালানি বাবদ খরচ প্রতি বছর কমবে ৭ হাজার ডলার করে।  

সৌরপ্রযুক্তি ব্যবহার করে যে জ্বালানি উৎপাদিত হবে তার বাড়তি অংশ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।