ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

মাওলানা আবদুল জব্বার কৃতিত্বপূর্ণ জীবনের অধিকারী ছিলেন

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৬
মাওলানা আবদুল জব্বার কৃতিত্বপূর্ণ জীবনের অধিকারী ছিলেন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মাওলানা আবদুল জব্বার কৃতিত্বপূর্ণ জীবনের অধিকারী ছিলেন। তার গুণের মাঝে অন্যতম ছিল তিনি অনুকূল প্রতিকূল সর্বাবস্থায় কাজের উপযুক্ত ছিলেন। তার ভেতর আলস্য বা অমনোযোগের কোনো বিষয় ছিল না।

মাওলানা আবদুল জব্বার কৃতিত্বপূর্ণ জীবনের অধিকারী ছিলেন। তার গুণের মাঝে অন্যতম ছিল তিনি অনুকূল প্রতিকূল সর্বাবস্থায় কাজের উপযুক্ত ছিলেন।

তার ভেতর আলস্য বা অমনোযোগের কোনো বিষয় ছিল না। কাজের ভেতরে ডুব দিয়ে তিনি সফলতা তুলে আনতে পারতেন। এ জন্যই বেফাককে তিনি এতটা উর্ধ্বে আনতে পেরেছেন।  

বাংলাদেশ কওমি মাদারাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার (রহ.)-এর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেফাকের সহসভাপতি ও জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগের মুহতামিম আল্লাম আশরাফ আলী এসব কথা বলেন।  

স্মরণ সভায় বক্তারা এক বাক্যে মাওলানা আবদুল জব্বারকে ‘বহুগুণের অধিকারী একজন মানুষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।  

বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম স্মরণসভার আয়োজন করে।

বেফাকের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, মাওলানা আবদুল জব্বার দীর্ঘ ২৭ বছর বেফাকের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এটা একটি বিরল ঘটনা।  

বক্তারা আরও বলেন, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার (রহ.) দেশের তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামি শিক্ষাকে সম্প্রসারিত করা, মাদরাসাগুলোকে সুসংগঠিত করা, সুস্থ ধারার সংস্কৃতি বিনির্মাণ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মনে মাতৃভাষাচর্চা, দেশপ্রেম জাগ্রত করা ও নৈতিক মূল্যবোধ চর্চার পথিকৃত ছিলেন। তিনি আমরণ ইসলামের পতাকা নিয়ে ছুটে গেছেন দেশের প্রান্তিক জনপদে।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুবের উদ্বোধনী বক্তব্যে শুরু হওয়া স্মরণসভায় আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, শায়খ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, হযরত শায়খ জাকারিয়া কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মাদরাসা দারুর রাশাদ মিরপুরের শিক্ষা সচিব মাওলানা লিয়াকত আলী, লেখক ও গবেষক মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ, জামিয়া ইকরা বাংলাদেশের রঈস মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ, জামিয়া রাহমানিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা মামুনুল হক, জামিয়া আরাবিয়া লালবাগের মুহাদ্দিস মুফতি তৈয়ব হোসাইন, মাসিক মদিনা সম্পাদক আহমদ বদরুদ্দীন খান প্রমুখ।

স্মরণসভায় স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন মাওলানা আবদুল জব্বার (রহ.)-এর জামাতা মাওলানা তানিম হোসাইন মাহমুদী।
 
স্মরণসভায় বেফাকের চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফির লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন।

লিখিত বক্তব্যে আল্লামা শফি বলেন, মাওলানা আবদুল জব্বার (রহ.) একজন নিরলস কর্মী, দীনের খাদেম এবং কৃতিত্বপূর্ণ জীবনের অধিকার আল্লাহর প্রিয় বান্দা ছিলেন। তার হাতেই বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া প্রাণ পেয়েছে। দীর্ঘ ৩৮ বছর তিনি বেফাকের সঙ্গে যুক্ত থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে মানোন্নয়ন করেছেন।  

আওয়ার ইসলামের নির্বাহী সম্পাদক রোকন রাইয়ান ও আবু সাঈদ জোবায়ের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা নেয়াতুল্লাহ আমিন, মুফতি এনায়েতুল্লাহ, জহির উদ্দিন বাবর, মাসউদুল কাদির, গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ ও আলী হাসান তৈয়বসহ তরুণ প্রজন্মের চিন্তাশীল আলেমরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬
এমএইউ/ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।