ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

খোদাভীরুরা থাকবে বেহেশতে

মাওলানা আবদুল জাব্বার, অতিথি লেখক, ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
খোদাভীরুরা থাকবে বেহেশতে নিশ্চয়ই খোদাভীরুরা থাকবে জান্নাতে ও নেয়ামতে

কোরআনে কারিমের সূরা তুরে কয়েকটি আয়াতে খোদাভীরুদের জন্য নির্ধারিত অশেষ পুরস্কারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই সব আয়াতে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই খোদাভীরুরা থাকবে জান্নাতে ও নেয়ামতে। তারা উপভোগ করবে যা তাদের পালনকর্তা তাদের দেবেন এবং তিনি জাহান্নামের আজাব থেকে তাদেরকে রক্ষা করবেন।

বেহেশতবাসীরা আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে নানা নেয়ামত পেয়ে খুশি হবেন এবং তারা এ প্রসঙ্গে আনন্দজ্ঞাপক ও সুমিষ্ট নানা কথা বলবেন। সেখানে তাদের অন্তর সব ধরনের দুঃখ ও বেদনা থেকে মুক্ত হবে এবং তারা নজিরবিহীন প্রশান্তি অনুভব করবেন। বিশেষ করে আল্লাহতায়ালা তাদেরকে শাস্তিমুক্ত রাখার নিশ্চয়তা দেওয়ায় এবং তাদেরকে দোজখের শাস্তি থেকে মুক্ত রাখায় তারা অপার সুখ ও শান্তি অনুভব করবেন।  

বেহেশতে তাদেরকে বলা হবে, ‘তোমরা যা করতে তার প্রতিফল হিসেবে তোমরা তৃপ্ত হয়ে পান ও আহার করো। ’

বেহেশতের সুখের উপকরণ ও নেয়ামতগুলো শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই, তাই এসব পুরোপুরি উপভোগ্য।  

সূরা তুরের ২১ নম্বর আয়াতে বেহেশতের নেয়ামতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ইরশাদ আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘যারা ঈমানদার এবং যাদের সন্তানরা ঈমানে তাদের অনুগামী, আমি তাদেরকে তাদের পিতৃপুরুষদের সঙ্গে মিলন ঘটিয়ে দেব এবং তাদের আমলের প্রতিদান বিন্দুমাত্রও হ্রাস করবো না। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী। ’

ইসলামি স্কলাররা বলেন, ইমানদার সন্তান ও প্রিয় বংশধরদের বেহেশতে নিজের কাছে পাওয়া বড় ধরনের এক নেয়ামত। তাদের প্রতি ভালোবাসার সুযোগ অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক বিষয়।

বেহেশতবাসীদের অশেষ প্রশান্তি ও সুখের জন্য যা যা দরকার তার সব কিছুরই ব্যবস্থা করেছেন আল্লাহতায়ালা। আর এসব বিষয়ে কিছু বর্ণনার পর বেহেশতি ফল ও খাবার সম্পর্কে বক্তব্য এসেছে সূরা তুরের অন্য আয়াতে। বেহেশতের এসব খাবার ও ফল চিরস্থায়ী।

কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তাদেরকে দেবো- ফল-মূল এবং গোশত, যা তারা চাইবে। সেখানে তারা একে অপরকে সূরাপূর্ণ পানপাত্র দেবে; যাতে অসার বকাবকি নেই এবং পাপ নেই। দেখতে সুরক্ষিত মোতির মতো কিশোররা তাদের সেবায় ঘুরাফেরা করবে। তারা একে অপরের দিকে মুখ করে এতোসব সাফল্যের কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন করবে। তারা বলবে, আমরা ইতোপূর্বে দুনিয়ায় নিজেদের ঘরে পরিবারের মধ্যে আজকের দিনের শাস্তি সম্পর্কে ভীত-কম্পিত ছিলাম। অতঃপর আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করেছেন। আমরা আগেও আল্লাহকে ডাকতাম। তিনি সৌজন্যশীল, পরম দয়ালু। ’

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮ 
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।