ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

দোয়া করলে আল্লাহ খুশি হন

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
দোয়া করলে আল্লাহ খুশি হন ছবি : প্রতীকী

বান্দা আল্লাহকে ডাকলে আল্লাহ তাআলা সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেন। যারা তার কাছে দোয়া করে, তাদের প্রতি তিনি খুশি হন। যারা আল্লাহর কাছে দোয়া করে না, আল্লাহ তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আমার বান্দা যখন আপনার কাছে আমার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে; আমি তো কাছেই আছি। আমি দোয়া কবুল করি, যখন সে আমার কাছে দোয়া করে।

’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৬)

অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা তোমাদের রবকে ডাকো বিনীতভাবে ও নীরবে। নিশ্চয়ই তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না। ’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ৫৫)

আল্লাহর চেয়ে উত্তম দাতা ও সাহায্যকারী আর কেউ নেই। একমাত্র তিনিই বান্দার সব অভাব-অভিযোগ পূরণ করতে পারেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে তাঁর দয়া ও রহমত চাও। কেননা আল্লাহ তায়ালা চাইলে তিনি খুশি হন। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৫৭১)

আল্লাহ তাআলার রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী। তিনিই অসহায়ের একমাত্র সহায়। সব বিপদাপদ থেকে রক্ষাকারী। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘কে আছে অসহায় ও বিপন্নের ডাকে সাড়া দেয়, যখন সে ডাকে এবং কষ্ট ও বিপদ দূরীভূত করে দেয়?’ (সুরা নমল : ৬২)।

অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমরা ভয় এবং আশা নিয়ে আল্লাহকে ডাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী। ’ (সুরা আরাফ : ৫৬)

আলী (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘দোয়া মোমিনের হাতিয়ার, দ্বীনের স্তম্ভ এবং আসমান এবং জমিনের নুর। ’ (মুসলিম, হাদিস নং : ৪৬৫)

যারা আল্লাহকে ডাকে কিংবা আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ তাদের হাতকে কখনও খালি ফেরত দেন না। সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলার অনেক লজ্জা ও আত্মমর্যাদা আছে। সুতরাং যখন মানুষ চাওয়ার জন্য তাঁর কাছে দুই হাত উত্তোলন করে, তখন তিনি সেই হাত দুটিকে ব্যর্থ ও খালি ফেরত দিতে লজ্জা বোধ করেন। ’ (মুসলিম, হাদিস নং : ৩২১)

দোয়ার মাধ্যমে সম্মান বৃদ্ধি পায়
আল্লাহর কাছে চাওয়ার উত্তম পদ্ধতি হলো দোয়া করা। দোয়ার মাধ্যমে মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া অপেক্ষা কোনো জিনিসই অধিক ফজিলত ও সম্মানের নেই। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৩৭)

মানুষের যা কিছু প্রয়োজন, তা আল্লাহর কাছেই চাইতে হবে। তবে একে অপরের কাছে দোয়া চাইতে কোনো নিষেধ নেই। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি আমার বান্দার সঙ্গে তেমন ব্যবহার করি, আমার প্রতি সে যেমন ধারণা রাখে আর সে যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার সঙ্গেই থাকি। ’ (মুসলিম, হাদিস নং : ৬৮২৯)

দোয়া করার আগে করণীয়
হালাল খাবার খাওয়া, দোয়া করার আগে পাকপবিত্র হওয়া, নিয়ত ঠিক করা, আদবের সঙ্গে বসা, হারাম জিনিস বর্জন করা জরুরি।

দোয়া কবুলের বিশেষ সময়
দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত হলো জুমার রাত, আরাফাতের দিন, ইফতারের আগ মুহূর্ত, বাইতুল্লাহ তাওয়াফের সময়, শেষ রাতে তাহাজ্জুদের পর, শবেকদরের রাতে ইত্যাদি। আল্লাহ কবুল করেন বাবা-মা, শিক্ষক, মুসাফির, বুজুর্গ, মজলুম ব্যক্তি ইত্যাদির দোয়া দ্রুত কবুল করেন।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এমএমইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।