ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা ছবি : বাংলানিউজ

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাতের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ এটি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ তারিখ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিপুল সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (১৪ ফ্রেব্রুয়ারি) বাদ আছর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে ইজতেমার মূল কার্যক্রম।

ইজতেমা অর্ধশত বছর ধরে
বিশ্ব ইজতেমা তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সমাবেশ।  তুরাগ নদীর তীরে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় মুসলমানদের বিশাল এই মিলনমেলা।

পৃথিবীর নানা দেশের নানা প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ জমায়েতে যোগ দেন। ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতি বছর নিয়মতান্ত্রিকভাবে এ মহা সমাবেশ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ বছরেরটি বিশ্ব ইজতেমার ৫৪তম আসর।

শুরুর কথা, গোড়ার কথা
তাবলিগ জামাতের প্রথম বার্ষিক সম্মেলন বা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালে। ঢাকার কাকরাইল মসজিদে। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে। ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে। তখন এ সমাবেশ কেবল ইজতেমা নামেই পরিচিত ছিল।

তুরাগ তীরের ইজতেমায়, লক্ষ মানুষ হাত উঠায়
প্রতি ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। তাই ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগার গ্রামের খোলা মাঠে ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ওই বছর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নিতে শুরু করেন। তখন থেকে ‘বিশ্ব ইজতেমা’ নামে এটি পরিচিতি পায়। এরপরের বছর থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তুরাগ নদীর উত্তর-পূর্ব তীরের বিশাল খোলা জায়গায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ সমাবেশ।

মুসলিমবিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ
সৌদি আরবের পবিত্র হজের পর বিশ্ব ইজতেমা মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ। ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের এক বিশাল মিলনমেলা। প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন প্রায় চল্লিশ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান।

বহু বর্ণের ও বহু দেশের অতিথি
২০১৭ সালে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ছয় হাজার মুসল্লি। এসেছিলেন বিশ্বের ৯৬ টি দেশ থেকে তারা। গতবার ও তার আগের বিভিন্ন কারণে সংখ্যা একটু কমেছিল। তবে এবারও বহু সংখ্যক বিদেশি মুসল্লি আগমন করেছেন বলে জানা গেছে।

দুই পর্বে ইজতেমা
পুণ্যার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই পর্বে। তবে এ বছর কোনো পর্ব না থাকলেও দুই পক্ষের আলাদা আলাদা ইজতেমা হচ্ছে।

বিশেষ ট্রেন ও যাতায়াত
বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।   সরকারি বাসেরও থাকে বিভিন্ন রকমের সেবাকার্যক্রম।

অন অ্যারাইভাল ভিসা
বাংলাদেশে যেসব দেশের দূতাবাস নেই, সেসব দেশের নাগরিকরা ইজতেমায় অংশ নিতে চাইলে বাংলাদেশে ৩০ দিনের অন অ্যারাইভাল ভিসা পান।

শেষ দিনে, টঙ্গী পানে
ইজতেমার শেষ দিন লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় টঙ্গী এলাকা। তখন আশপাশের এলাকার সড়ক, বাড়ির ছাদে বসেও মোনাজাতে অংশ নেন লাখ লাখ মানুষ।

আখেরি মোনাজাত
বিশ্ব ইজতেমার শেষ দিন দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ প্রার্থনা। এ বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পক্ষের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায়।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।