ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

নতুন বছর হোক পুণ্যময়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
নতুন বছর হোক পুণ্যময় ছবি : প্রতীকী

সময়ের পটভূমিতেই মানুষের জীবন রচিত। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত, জন্ম থেকে মৃত্যু—সুবিশাল এক ব্যাপার। আর আল্লাহ তাআলাও নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়েই পৃথিবীতে আমাদের প্রেরণ করেছেন।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘সেখানে তারা (অপরাধীরা) চিৎকার করে বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের আবার দুনিয়ায় প্রেরণ করুন। আগে যা করেছি, তা আর করব না।

তখন আল্লাহ বলবেন, আমি কি তোমাদের এতটা সময় দিইনি, যাতে উপদেশ গ্রহণ করতে পারতে? উপরন্তু তোমাদের কাছে সতর্ককারীরাও আগমন করেছিল। অতএব, আজাব আস্বাদন করো। জালেমদের কোনো সাহায্যকারী নেই। ’ (সুরা ফাতির, আয়াত : ৩৭)।

কিছুদিন আগে পুরোনো বছর বিদায় নিয়েছে। আগমন ঘটেছে নতুন বর্ষের। সচেতন ও মেধাবী মাত্রই নববর্ষ মানে নতুন ভাবনা ও নতুন স্বপ্ন। নতুন বছরের সফলতার জন্য ফিরে তাকাতে হবে পুরোনো বছরের ডায়রিতে। এতে হয়তো ধরা পড়বে অসংখ্য ভুল। এগুলো থেকে তওবা অনুশোচনা করে ফিরে আসতে হবে আল্লাহর পথে। পাশাপাশি একজম মুমিন হিসেবে সময়ের পরিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে কাজ করতে পারি, তার দৃঢ়সংকল্পও করতে হবে।

পার্থিব জীবন আখিরাতের তুলনায় খুবই সংক্ষিপ্ত। আর দুনিয়ার জীবনটা হচ্ছে আখিরাতের শস্যখেত। দুনিয়ার তুচ্ছতা সম্পর্কে জাবের (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, একবার রাসুল (সা.) একটি কান কাটা মৃত বকরীর বাচ্চার নিকট দিয়ে অতিক্রমকালে বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে এটাকে এক দিরহামের বিনিময়ে নিতে পছন্দ করবে? তারা বললেন, আমরা তো এটাকে কোনো কিছুর বিনিময়েই নিতে পছন্দ করবো না। তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! এটা তোমাদের কাছে যতটুকু নিকৃষ্ট, আল্লাহর কাছে দুনিয়া (এবং তার সম্পদ) এর চাইতেও অধিক নিকৃষ্ট। ’ (মুসলিম, হাদিস নং: ৫১৫৭)

গতবছরেও নতুন বছরের শুরুতে অনেক মানুষ ছিল। আজ তারা নেই। চলে গেছে না ফেরার দেশে। এই বছর হয়তো আমরা বেঁচে আছি। আগামী বছর নাও বেঁচে থাকতে পারি। অবহেলা না করে জীবনটা কাজে লাগানো জরুরি। আল্লাহর সন্তুষ্টি-মর্জিতে আত্মমগ্ন হওয়া চাই। রাসুল (সা.) বলেন, ‘বুদ্ধিমান সে ব্যক্তি, যে নিজের জীবনের হিসাব নেয় এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য পুঁজি সংগ্রহ করে। ’ (মুস্তাদরাক)

ইবনে ওমর (রা.) বলতেন, ‘তুমি সকালে উপনীত হলে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেঁচে থাকার অপেক্ষা কর না এবং সন্ধ্যায় উপনীত হলে সকাল পর্যন্ত জীবিত থাকার আশা কর না। আর সুস্থ থাকা অবস্থায় অসুস্থ সময়ের জন্য আমল করে নাও এবং জীবন থাকতে মৃত্যু-পরবর্তী সময়ের পুঁজি সংগ্রহ কর। ’ (বুখারি)

আল্লাহ আমাদের সব সময় ভালো কাজ করার তাওফিক দান করুন।

লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com

বাংলাদেশ সময়:  ১১১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।