ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

হজ-ওমরাহ সফরে নারীর সোনা-গয়না ব্যবহারের বিধান

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
হজ-ওমরাহ সফরে নারীর সোনা-গয়না ব্যবহারের বিধান ছবি : প্রতীকী

প্রশ্ন: হজ ও ওমরাহসংক্রান্ত কয়েকটি প্রয়োজনীয় মাসআলা জানতে চাচ্ছি। এক. সাধারণত আমি সব মিলিয়ে দুই-তিন ভরি স্বর্ণ ব্যবহার করে থাকি। হজ-ওমরাহের ইহরাম অবস্থায় কি এগুলো ব্যবহার করতে পারবো?

দুই. ইহরাম অবস্থায় হাতমোজা-পামোজা পরা যায়? পরলে কোনো সমস্যা হবে কি না?

তিন. সাধারণত সবাই ইহরামের জন্য সাদা কাপড় ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে মহিলাদের জন্যও কি সাদা বোরকা পরতে হবে?

উত্তর: এক. ইহরাম অবস্থায় নারীদের জন্য স্বর্ণালংকার ব্যবহার করা জায়েজ।

প্রখ্যাত তাবেয়ি নাফে (রহ.) বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.)-এর স্ত্রী এবং মেয়েরা ইহরাম অবস্থায় স্বর্ণ-রূপার অলংকার ব্যবহার করতেন। ’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ, হাদিস নং: ১৪৪১৪)

দুই. মহিলারা ইহরাম অবস্থায় হাতমোজা-পামোজা পরতে করতে পারবেন। এতে কোনো অসুবিধা নেই। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘ইহরাম অবস্থায় মহিলারা হাতমোজা ও পাজামা পরিধান করতে পারবে। ’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ, হাদিস নং: ১৪৪৪০)

সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি তার কন্যাদের ইহরাম অবস্থায় হাতমোজা পরার নির্দেশ দিতেন। (কিতাবুল উম্ম, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২২৩)

শুবা (রহ.) বলেন, ‘আমি হাকাম ও হাম্মাদ (রহ.)-কে (ইহরাম অবস্থায়) হাতমোজা পরার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা উভয়ে বললেন, এতে কোনো সমস্যা নেই। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ, হাদিস নং: ১৪৪৪১)

সালেম রাহ. বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. মুহরিম মহিলাদের পামোজা কেটে দিতেন। কিন্তু সফিয়্যা বিনতে আবু উবাইদ (রা.) তার কাছে যখন আয়েশা (রা.)-এর এ হাদিস বর্ণনা করেন যে, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহরিম নারীদের পামোজা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। ’ এরপর থেকে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.)  মুহরিম নারীদের পামোজা আর কেটে দিতেন না। ’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং: ১৮৩১)

তিন. ইহরাম অবস্থায় নারীদের জন্য সাদা বোরকা পরা জরুরি নয়। বরং স্বাভাবিক সময় কালো বা অন্য যে রঙের বোরকা ব্যবহার করে, তা পরতে পারবে। তবে অন্য সময়ের মত হজের সফরেও বোরকার রঙ কালো অথবা এমন হওয়া উচিত, যাতে আলাদা আকর্ষণ তৈরি না হয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ, হাদিস নং: ১৪৪১৯; আলমাবসুত, সারাখসি: ৪/৩৩; বাদায়েউস সানায়ে: ২/৪১০; ফাতাওয়া খানিয়া: ১/২৮৬; ফাতহুল কাদির ২/৪০৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ২/৫৪৪; আলবাহরুর রায়েক: ২/৩৫৫; মানাসিক, মোল্লা আলী আলকারি, পৃষ্ঠা: ১১৫)

ইসলাম ও জীবনবিষয়ক  যেকোনো প্রশ্ন আপনিও পাঠাতে পারেন। প্রশ্ন পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।