ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

জিলকদ মাসের আমল

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২২
জিলকদ মাসের আমল

ঢাকা: হিজরি ক্যালেন্ডারের ১১তম মাস জিলকদ। এ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কেননা ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ উল আজহার মধ্যে জিলকদ মাসের অবস্থান।

জিলকদ শব্দের অর্থ স্থির হওয়া বা বিশ্রাম নেওয়া। জিলকদ মাসকে বিশ্রামের মাস বলা হয়, কেননা এ মাসের আগের চার মাস ও পরের দুই মাস ইবাদতে ব্যস্ত থাকতে হয়।

এ কারণে জিলকদ মাসে মুসলিম উম্মাহ বিশ্রামের সুযোগ পায়। জিলকদ মাসেরও বেশ কিছু আমল রয়েছে।

বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য জিলকদ মাসের আমল সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো-

জিলকদ মাসের পর জিলহজ মাস। তাই এ মাসে হজ ও কোরবানির প্রস্তুতি নেওয়া ভালো। এছাড়া জিলহজ ও মহররম মাসের প্রস্তুতি হিসেবে নফল রোজা করা। এ মাসের ১, ১০, ২০, ২৯ ও ৩০ তারিখে নফল রোজা পালন করা। জিলকদ মাসে রোজা পালন করা। এ মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বিদের রোজা রাখা। প্রত্যেক শুক্রবার নফল রোজা পালন করা। এছাড়াও প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নতে নববি রোজা রাখা।

প্রতিদিন বেশি বেশি কোরআন তেলওয়াত করা খুবই ভালো। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি বেশি বেশি নফল নামাজ (তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত বা দুহা) আদায় করা।

যারা হজে যাওয়ার নিয়ত করেছেন, তারা এ মাসে হজের আমলগুলো সম্পর্কে ভালো মতো জেনে নেওয়ার সময় পান।  

ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাত ইবাদত ও আমল না থাকলেও আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত মর্যাদার চার মাসের একটি মাস জিলকদ। আল্লাহ তাআলা এ মাসে যে কোনো রক্তপাত, যুদ্ধ-বিগ্রহ বা বাদানুবাদকে হারাম করেছেন। মুসলিম উম্মাহ মাসটি ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করবে। হজ, কোরবানি ও জিলহজের রোজার প্রস্তুতিতে বিশ্রাম নেবে। এটিও ইবাদতের অন্তর্গত।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৬ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।