বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক বিবৃতিতে পদ্মাসেতুর বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ প্রশ্ন রাখেন। পরে বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে পদ্মাসেতুর এ অভিযোগ ঘিরে সর্বোচ্চ সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে। তাকে রাজনীতি ও মন্ত্রিত্ব থেকে সরে যেতে হয়েছে। একজন দক্ষ মন্ত্রীর ক্যারিয়ার নষ্ট হয়েছে। সচিবসহ অনেক কর্মকর্তাকে জেলে যেতে হয়েছে। বিশ্বব্যাংক, দেশীয় স্বার্থান্বেষী মহল ও কতিপয় মিডিয়ার উদ্দেশ্যমূলক, পরিকল্পিত ভূমিকায় পদ্মাসেতুর মতো একটি মেগা উন্নয়ন প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হলো। ক্ষতিগ্রস্ত হলো বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, আমার শাসনামলে সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কে মহাসড়কগুলোসহ উপজেলা পর্যায়ে ব্যাপক উন্নয়ন সংযোজন করেছিলাম, নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলাম। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক অঙ্গীকার দ্রুত বাস্তবায়নে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী পদ্মাসেতু প্রকল্প হাতে নেন। পদ্মাসেতু চালুর জন্য দ্রুত প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করেন।
যেহেতু ভুল তথ্য ও মিথ্যা অপরাধে সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছে, তাকে বিনাদোষে দুর্নীতির অভিযোগ বইতে হয়েছে, তার ব্যক্তিগত ইমেজও ক্ষুণ্ন হয়েছে, সেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবুল হোসেনের মন্ত্রিত্ব পুনঃবিবেচনায় নিয়ে তাকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করবেন বলে আমার বিশ্বাস। একই ঘটনায় সরকারের তৎকালীন সচিবকে ইতোমধ্যে চাকরিতে পুনঃবহাল করা হয়েছে।
এটা প্রমাণিত- পদ্মাসেতু প্রকল্পে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্র হয়েছিলো।
যাদের মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রে পদ্মাসেতু বিতর্কিত হয়েছে, সেসব পত্রিকার রিপোর্ট উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৎকালীন মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে, যাদের কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
ওএইচ/এএ