তিনি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এরশাদের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
সাবেক রাষ্ট্রপতি তার বিবৃতিতে বলেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে আমরা এ ধরনের বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হইনি। ১০ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে আমাদের মতো দেশে আশ্রয় দেওয়া খুবই কঠিন।
তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় না দিয়েও পারে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো- এই আর্তমানবতার পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে এবং তাদের আশ্রয় দিতে হবে, সেবা দিতে হবে, চিকিৎসা দিতে হবে।
মায়ানমার সরকার তাদের সেনাবাহিনীকে দিয়ে রোহিঙ্গাদের ওপর যে অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে- তা আদিম বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে বলে উল্লেখ করে এরশাদ।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, কোনো দেশের সরকার তার নাগরিকদের এমনভাবে হত্যা-নির্যাতন, ধর্ষণ, করতে পারে কিংবা তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিতে পারে- তা সভ্য দুনিয়ায় কল্পনাও করা যায় না। এর জন্য মায়ানমার সরকারের প্রতি আমি তীব্র ঘৃণা, নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।
‘আমি আশা করবো- মায়ানমার অবিলম্বে এই বর্বরোচিত কার্যকলাপ বন্ধ করে- দেশ ত্যাগে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেবে এবং তাদের ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ’
অন্যথায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে মায়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপসহ কঠিন ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও জানান এরশাদ।
সাবেক রাষ্ট্রপতি তার বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। দেশে এখন খাদ্য সংকট রয়েছে। উপুর্যপুরি বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ খাদ্য পরিস্থিতি নিয়েও আমি উদ্বিগ্ন। তার ওপর ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর চাপ বাংলাদেশ কতটুকু গ্রহণ করতে পারবে তা জাতিসংঘসহ উন্নত বিশ্বকে বিবেচনা করতে হবে।
এমতাবস্থায় গোটা বিশ্বকে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানান এরশাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৭
এএটি/এইচএ/