জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার শনিবার (০১ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তার সঙ্গে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসুস্থতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে এরশাদ ‘নাটকীয় অসুস্থতা’ নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি হয়েছিলেন। এর আগে নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সরকারকে আত্মহত্যার ভয়ও দেখিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সিএমএইচে ভর্তি থাকা অবস্থায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
গত ২৭ নভেম্বর রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে (সিএমএইচ) তাকে ভর্তি করা হয়। দলের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ২ ডিসেম্বর (রোববার) সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হবে। আর এমন খবর প্রচারিত হলে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও এরশাদ ‘নাটক’ করছেন কী না- এমন আলোচনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সবখানে উঠে আসে। এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমে বলেন, হুসাইন মুহম্মদ এরশাদের ৯০/৯২ বছর বয়স হয়েছে। রাজনীতিকভাবে নয়, সত্যিকারের অর্থেই তিনি অসুস্থ। এ নিয়ে ট্রল (হাসাহাসি) করার কিছু নেই।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রুহুল আমীন হাওলাদার সাংবাদিকের বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মনোনয়ন জমা দিয়েছি। এই মুহূর্তে তিনি বাসায় আছেন। আমরা সবাই মিলে তার নির্বাচন করছি। তার মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে। আমরা কাজ করছি এবং সব এলাকায় অফিস নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। এখানে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তিনি নির্বাচন পরিচালনা করছেন।
‘আপনাদের নিশ্চয় মনে পড়বে ৫/৬ দিন আগে আমি নিজেই বলেছিলাম স্যার (এরশাদ) দু’একদিন পর বাসায় ফিরে আসবেন। এখন এসেছেন, খবর নিয়ে দেখুন’।
জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ‘বাণিজ্য’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যত কথা পত্রিকার পাতায় আসুক, সত্যতা কেউ খুঁজে পাবে না। এগুলো বিভ্রান্তিকর। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। মানুষ আমাদের উপর আস্থা রাখে। আমরা যে ৪৫ বছর ধরে রাজনীতি করছি, এটাকে ধুলায় মিশিয়ে দেওয়ার জন্য তারা যড়যন্ত্র করছে। তবে আমরা যেহেতু রাজনীতি করি মানুষের মাঝেই থাকবো। সমাজসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। এই যে কথাগুলো আসছে, মানুষ এগুলো সময়ের ব্যবধানে বুঝতে পারবে। সত্যতা নেই, এগুলো মিথ্যা, বানোয়াট এবং কিছু কিছু লোক না পাওয়ার বেদনা থেকে এগুলো করছেন। যারা এগুলো করছেন তারাও একসময় অনুতপ্ত হবেন।
মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগটি অনেকে হতাশা থেকে তুলতে পারেন। গণমাধ্যমে যে খবর এসেছে তার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যাবে না। মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস