মঙ্গলবার (০৪ ডিসেম্বর) বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে রাঙ্গা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মনোনয়ন বঞ্চিতদের অভিযোগের কারণে রুহুল আমিন হাওলাদার পার্টির চেয়ারম্যানের কাছে একটি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন, সেখানে অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন।
‘মনোনয়ন বাণিজ্যের অযথা অভিযোগ একজন মানুষের বিরুদ্ধে করা হলে তা তদন্ত করে প্রকৃত বিষয়টি জানানো হবে। পত্র-পত্রিকায় যেহেতু এই অভিযোগ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তাই আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটি চাচ্ছে, কম সময়ের জন্য একটি কমিটি করে বিষয়টি তদন্ত করতে। যদি কেউ এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব রাঙ্গা বলেন, মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টি ৫৪টি আসন পেতে পারে। আমরা মনে করি ৫৪টি আসনে জাপার প্রার্থীরা যোগ্য। এখন সার্বিকভাবে প্রার্থীর সব দিক বিবেচনা করে সবগুলোই পাবো কি না তা এখনই ঠিক করে বলা যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা যত আসনেই মনোনয়নপত্র দিই না কেন? আমাদের চাহিদা এত নয়। কে জিতবে, কে হারবে তা ভাবা হচ্ছে। আমরা সবকিছু যাচাই-বাছাই করে যারা বিজয়ী হতে পারবেন তাদেরই মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তবে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানান মশিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি বলেন, আমরা প্রার্থীদের প্রত্যাহারের আবেদনেও সই নিয়েছি। কাজেই একাধিক প্রার্থী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
‘জাপার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ৯ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকাশ করা যাবে। এ সময়ের মধ্যে প্রয়োজন প্রার্থী বদলও হতে পারে। ’
রাঙ্গা বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুদ্ধে যাবো না। সমঝোতার মাধ্যমে ভোট করবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাপার মহাসচিব বলেন, রুহুল আমিন হাওলাদারের পদত্যাগ ও মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ নিয়ে দলের ইমেজ সংকট হবে বলে আমার মনে হয় না। না জেনে একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করাও ঠিক হবে না।
‘তাছাড়া আমি এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
এসই/এমএ