ইচ্ছেঘুড়ি
বাবুর শখ চিরদিন
ঘুড়ি হলেই ভালো
চোখের আড়াল হলে ঘুড়ি
মুখটি তখন কালো।
নাওয়া নেই খাওয়া নেই
ঘুড়ি হাতে তার
অন্য কেউ ধরতে গেলে
কেঁদে জারেজার।
মাঠের পরে বন পেরিয়ে
বাবু দেখো একা
সব সাথীরা নাইবা এলো
বাবুর পাবে দেখা।
বাবা-মায়ের চোখ রাঙানি
কড়া শাসন তাই
পাঠশালাতে নাই যদি যায়
ভাঙবে এবার নাটাই।
সব ঘুড়িতে মিছিল করে
কাটবে না আর সুতা
বাবু কেনো নেইকো মাঠে
নেই ঘুড়ি তার কোনোটা।
ব্যবধান
বাড়ছে বাড়ি, বাড়ছে গাড়ি
বাড়ছে দেশের জনগণ,
নিত্যপণ্যের বাড়ছে দাম
বাড়ছে না তার নিয়ন্ত্রণ।
বাড়ছে মেধা বাড়ছে বল
বাড়ছে না তাও উন্নয়ন
বাড়ছে শুধু দেশটা জুড়ে
দুর্নীতি আর দুঃশাসন।
যে ভূমিতে মুক্ত হলাম
বাড়ছে না তার সৌরভ
বিশ্বসভায় বাড়ছে না মোদের
ভাবমূর্তি আর গৌরব।
বাড়ছে মিছিল প্রতিবাদ আর
বাড়ছে সভা সেমিনার
এসব দেখেও বাড়ছে কেনো
সন্ত্রাসীদের অনাচার?
বাড়ছে শুধু মন্দগুলোই
ভালোর ঘরে দিয়ে তালা
ভালো-মন্দের কী ব্যবধান
বাড়ছে না তা বুঝার পালা।
খুকুর চোখে
খুকুর চোখে স্বপ্ন দোলে
সাঁঝের বেলা গাইবে
প্রজাপতির পাখার ভরে
তাধিন তাধিন নাচবে।
সাঁঝ সকালে উঠবে হেসে
পাখির গানে গানে
মামা খালা ফুফু জেঠা
বুঝবে না তার মানে।
বকের শরীর সাদা পালক
সবুজ টিয়ের লেজে
হলুদ পাখির রঙ নিয়ে সে
দেখবে এবার সেজে।
মামণিটা শুধুই বোকা
দেয় না যেতে মাঠে
ঘুড়িগুলো কেমনে তবে
খেলবে নাটাই বাটে।
সব ময়ূরে পেখম খুলে
কেমনে দেখ নাচে
মেঘ গুঁড় গুঁড় বাদলা দিনেও
নেইকো মায়ের কোচে।
বৃষ্টি পড়ে
বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে
টিনের চালে নদীর জলে
দীঘির জলে ঢেউ খেলে
বৃষ্টি পড়ে আপন ভুলে।
ভরলো পুকুর ডুবলো উঠান
ধানের খেতে পানের ডোলে
বৃষ্টি এলে যায় ডুবিয়ে
বাঁশের ঝাড়ে আমের বোলে।
বৃষ্টি এলে রাখাল চলে
বাঁশির সুরে কদম তলে
পথ হারিয়ে পথ ভুলিয়ে
থমকে দাঁড়ায় মেঘের জলে।
বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে
দিনের শেষে রাতের পরে
সবুজ ঘাস আর শাপলা শালুক
গোলাপ জঁবাই বৃষ্টি ঝরে।
ভিজছে কৃষক ভিজছে বধূ
ভিজছে খেতের ফসল সবই
নাও ডিঙিতে ভিজছে মাঝি
বৃষ্টি এলো আজকে খুবই।
দিন কেটে যায় ছন্দে
ছন্দ ছড়াই দিন কেটে যায়
মন ছুঁয়ে যায় আনন্দে
সোহাগ বাবুর সারাটা দিন
কাটছে ভালো মন্দে।
পাহাড় চূড়ায় সাগর জলে
মাঠের ফসল দলে
ছুটছে দেখ দুরন্ত আর
দুষ্টু সকল ছেলে।
বৈশেখীর ওই আম্রতলে
ছুটছে বৃষ্টি রোদে
ছুরি চাকু লবণ মরিচ
কাঁচামিঠার স্বাদে।
সব শিশুরা দারুণ খুশি
আম কাঁঠালের বন্ধে
দাঁড়িয়াবান্ধা গোল্লাছুট আর
দিন কেটে যায় ছন্দে।