ঢাকা : গত তিন বছর ধরে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ব্যক্তির স্থান দখল করে রেখেছেন সুলতান কোসেন। জটিল রোগজনিত কারণে ২০০৮ সাল থেকে তার দেহের উচ্চতা প্রতিবছর ১ ইঞ্চি করে লম্বা হতে থাকে।
তবে রোগ আর স্বাভাবিক কারণ মিলিয়ে এরইমধ্যে যে পরিমাণ লম্বা হয়েছেন তাতে তার উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি।
২৯ বছর বয়সী সুলতান কোসেন পেশায় খামারকর্মী। দুনিয়ার সবচেয়ে লম্বা মানুষ তুরস্কের এই বাসিন্দার পায়ের পাতার দৈর্ঘ্য ১৩.৭ ইঞ্চি আর হাতের মুষ্ঠি হচ্ছে ১০.৮ ইঞ্চি, যা বর্তমান বিশ্বে আর কারও নেই (মার্কিন মুষ্ঠিযোদ্ধা সনি লিস্টনের মুষ্ঠির বেড় ছিল ১৪ ইঞ্চি)। এছাড়া কোসেনের পায়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ২৮ সাইজের জুতা।
সংবাদ সূত্র জানায়, সুলতান কোসেন দীর্ঘদিন জাইগান্টিজম (gigantism) নামে এক ধরনের জটিল রোগে ভুগছিলেন। ফলে শরীরের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন অতিরিক্ত মাত্রায় উত্পাদন হচ্ছিল। এ কারণেই অস্বাভাবিক হারে বাড়ছিল তার উচ্চতা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তাররা সুলতানের চিকিত্সা শেষে জানিয়েছেন, তার উচ্চতা আর বাড়বে না।
জানা গেছে, ১০ বছর বয়স পর্যন্ত তার বৃদ্ধি স্বাভাবিক হচ্ছিল। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে কয়েক বছরের মধ্যে অন্যান্য শিশু যখন চার ফুট উচ্চতার ছিল তখন সুলতান ছয় ফুট ছাড়িয়ে যান। এজন্য হরদম নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তাকে।
তবে সবকিছু মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ব্যক্তির মর্যাদা অর্জন করে এখন বেশ গর্বিতই সুলতান কোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১২
সম্পাদনা: আরিফুল ইসলাম আরমান, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘড়ি / আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর